শুক্রবারও মেঘাচ্ছন্ন থাকবে চট্টগ্রামের আকাশ

আশ্বিন মাস যাই যাই করলেও কার্তিকের আহবানে বৃষ্টির ছাড় নেই। এদিকে শরতের আকাশে “মেঘ বলেছে যাব যাব/ রাত বলেছে যাই/ সাগর বলে কুল মিলেছে/ আমি তো আর নাই”– রবীঠাকুরের গানের মতন মেঘের ভেলায় চড়ে বৃষ্টি ভাসায় নগরবাসীকে। এদিকে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে বয়ে চলেছে হালকা, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকেই ছিল মেঘলা আকাশ, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এদিকে ২৪ ঘন্টায় ২৯.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১২-১৫ কিলোমিটার। হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টি থাকলেও সমুদ্র বন্দরগুলোতে কোনো সতর্কতা সংকেত না দেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেওয়া হয়েছে।

তবে মৌসুমী বায়ুর বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার অতিক্রম করলেও এর কিছু বর্ধিতাংশ এখনও বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত রয়েছে। এখনও মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আকাশজুড়ে মেঘের কথা থাকলেও বিকেলে একতরফা ভাবেই মূষলধারে বৃষ্টি ভাসিয়ে দিয়েছে নগরবাসীকে। ৩০ মিনিটের বৃষ্টিতেই নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

অন্যদিকে দিনভর মেঘলা আকাশ থাকলেও আগামীকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন থেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এসময় আকাশ ঘন কালো মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। মূলত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলমান থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পর থেকে ধীরে ধীরে প্রভাবটি কমে যাবে। তবে এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্র বন্দরগুলোতে কোনো সতর্কতা জারি না করা হলেও নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত প্রদান করা হয়েছে।

এসআর/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!