শুরুতেই রেলের উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত, নেপথ্যে কি?

রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতে না হতেই স্থগিত হয়ে গেছে। বুধবার ৯ অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনেও উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে পর্যাপ্ত পুলিশ সরবরাহ না থাকায় এ উচ্ছেদ বন্ধ হয়েছে বলে দাবী করা হলেও নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রেল শ্রমিকদের চাপেই অনেকটা বাধ্য হয়ে কৌশলে সেগুনবাগান স্থানটির অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর মাসের ৯, ১০, ১৬, ১৭, ২৩, ২৪, ৩০ ও ৩১ (৮ দিন) রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে স্থান, তারিখ উল্লেখ করে সে অনুপাতে চিঠি ও নোটিশ ইস্যু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযান সফল করতে রেলওয়ে স্টেট অফিসের পক্ষ থেকে মাইকে পাবলিসিটি করা হয়।

বুধবার তালিকায় নির্ধারিত সময়ে সেগুনবাগান এলাকায় উচ্ছেদে গেলে শতশত অবৈধ দখলদার অভিযান বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে নিরাপত্তায় আরও ৩টি র্যাবের গাড়ি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে কয়েকটি দোকান ভেঙ্গে ফিরে আসে রেলওয়ে স্টেট বিভাগ।

অভিযানে অংশ নেন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা, ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসার (পূর্ব) পাহাড়তলী বোরহান উদ্দিন ও ডিভিশনাল স্টেট অফিসার (পাহাড়তলী) মাহবুবল আলম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’

উচ্ছেদ অভিযোনের দ্বিতীয় দিন হঠাৎ কি কারণে বন্ধ হলো জানতে চাইলে ডিভিশনাল স্টেট অফিসার (পাহাড়তলী) মাহবুবল আলম বলেন, লজিস্টিক সাপোর্ট না পাওয়ায় অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ডিআরএম/পূর্ব বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘পর্যাপ্ত পুলিশ সরবরাহ না পাওয়ায় আজকের উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে সিডিউল অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’

উল্লেখ্য, বুধবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন সেগুনবাগান এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গায় স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দখলদারদের প্রতিরোধের মুখে অভিযান অসমাপ্ত রেখে ফিরে আসেন উচ্ছেকারী দল।

জেএস/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!