যাত্রীদের থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছে সাগরিকা ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন

বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি ট্রেন সাগরিকা ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এই দুটি ট্রেনের নির্ধারিত কাউন্টারে বেশি ভাড়া নেয়ার এমন দৃশ্য দেখা যায়। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছিল কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা জীবন চন্দ দাশ নামক এক ব্যক্তি।

পরে যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সাব ইনস্পেক্টর আবু সুফিয়ান কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি ভাড়া ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তবে, সাগরিকা ও কর্ণফুলী ট্রেনের কাউন্টার ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান রুমি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এমন কোন ঘটনা আমি জানি না।’

জানা যায়, রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে বেসরকারিভাবে ৩৭টি ট্রেন চলাচল করছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ১৮টি পশ্চিমে ১৯টি ট্রেন চুক্তিরভিত্তিতে বেসরকারিভাবে পরিচালনা করছে। পূর্বাঞ্চলের ১৮টির মধ্যে সাগরিকা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম-চাঁদপুর এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম-ঢাকা আসা-যাওয়া করে। রেলের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও কোন টেন্ডার ছাড়াই দৈনিক চুক্তিতে এ ট্রেন দুটি চলাচলাচ করছে বলে অভিযোগ রেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

মেসার্স এনএল ট্রেডিং সাগরিকা ও এসআর ট্রেডিং কর্ণফুলী ট্রেন দুটি পরিচালনা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে এ ট্রেন দুটির বিরুদ্ধে টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি, অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ করে আসেছে এই রুটের যাত্রীরা।

শনিবার (২০ নভেম্বর) কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের কাছে ভাড়া বেশী আদায় করার একটি ভিডিও চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে এসেছে। তাতে দেখা যায়, যাত্রীরা বিষয়টি আরএনবির সদস্যদের অবহিত করলে বাহিনীর এসআই আবু সুফিয়ান কাউন্টারে গিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পান এবং বাড়তি টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে দেখা যায়।

পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত চিঠি প্রেরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জেএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!