মাস্কের মতো থার্মোমিটারও হঠাৎ বাজারছাড়া!

সাধারণ মানুষ দুই ধরনের থার্মোমিটার সংগ্রহে রাখেন— বিশেষত যাদের ঘরে ছোট্ট শিশু আছে। অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটির দামও একেবারেই হাতের নাগালে। ডিজিটাল থার্মোমিটারের দাম ১৩০ টাকা থেকে শুরু। গোলাপি রঙে আবৃত থার্মোমিটার পাওয়া যায় মাত্র ২০ টাকায়। তবে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়েছিল মাস্ক। দামও বেড়েছিল কয়েকগুণ। একই চিত্র থার্মোমিটারের ক্ষেত্রেও।

ওষুধের পাইকারি বাজার হাজারিগলি থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মেহেদীবাগ, পতেঙ্গার বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে প্রায় একই চিত্র পাওয়া গেছে। যাদের কাছে আছে তারা ২০ টাকার থার্মোমিটার বিক্রি করছেন ৫০ টাকায়।

হাজারিগলির মেসার্স মহাশয় ফার্মেসি, মেসার্স বাচাবাবা মেডিকেল হল, আল রাজি ফা র্মেসি, মেসার্স আলি ফার্মেসি, নিশা মেডিকেল হল ও পপুলার ফার্মেসিতে গিয়ে থার্মোমিটারই পাওয়া যায়নি। তবে মেসার্স দাশগুপ্ত ফার্মেসিতে পাওয়া গেলেও দাম হাঁকা হচ্ছে ৪০ টাকা। পাইকারি বাজারে ৪০ টাকা ক্রয়মূল্য হলে খুচরা বাজারে তা কমপক্ষে ৫০ টাকা মূল্যে কিনতে হবে গ্রাহককে।

পতেঙ্গার এমপিটি গেইটের রবিন ফার্মেসির সুমন জানান, আগে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করলেও এখন ক্রয়মূল্য বেশি তাই ৫০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।

মেহেদীবাগের জহিরুল ইসলামের মালিকানাধীন মডেল ফার্মেসিতে গিয়ে ডিজিটাল এবং পিংক কালারের কোন থার্মোমিটারই পাওয়া যায়নি। একই মালিকের আরেক ফার্মেসিতে গিয়ে দুই ধরণের থার্মোমিটারই পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, সাপ্লাই কম, তাই এক ফার্মেসিতে শেষ হয়ে গেছে। কারও দরকার হলে অন্য ফার্মেসি থেকে এনে দিচ্ছি। তবে ওখানেও শেষের দিকে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন লোটাস ফার্মেসির মালিক কামাল উদ্দিন জানান, প্রায় এক সপ্তাহ যাবদ থার্মোমিটার নেই। একই জবাব মুরাদপুরের হক ফার্মেসির ফয়সাল আহমেদের।

বহদ্দারহাট হক মার্কেটের শাহ আমানত ফার্মেসিতে খোঁজ নিয়ে মিলে একই চিত্র। ফার্মেসির সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির চারজন বিক্রয় প্রতিনিধি আড্ডা দিচ্ছিলেন। তারাও জানান, থার্মোমিটার সংকটের কথা। তাদের সাথে আলোচনায় আরেকটা বিষয় উঠে আসে থার্মোমিটার আমদানি হয় চীন থেকে। করোনাভাইরাস সংক্রামণের পর থেকে চীন নিজেই রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। পাশাপাশি চীন থেকে আমাদের আমদানিও সীমিত। চীনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে থার্মোমিটারের সংকট কাটাতে।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!