মাটিচাপা দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ১৯ কোটি টাকার পণ্য

বন্দরের কন্টেইনার ছাড়ানোর কেউ নেই

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা ২০৩ কনটেইনার পণ্য ছাড় না নেওয়ায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। আগামী ১০-১২ দিন ধরে চলবে এ ডাম্পিংয়ের কাজ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ৫ কনটেইনার মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ৪ কনটেইনার মাটি চাপা দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের টোল রোডের পাশে আবদুর রহমান ডিপো এলাকায় এসব পণ্য মাটিচাপা দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, সাড়ে ১৯ কোটি টাকা মূল্যমানের ২০৩ কনটেইনার পণ্য দীর্ঘদিনেও খালাস না করায় তা মাটিতে পুঁতে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে আপেল-কমলার মতো কাঁচা ফলমূলের পাশাপাশি এনার্জি ড্রিংক, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও প্রসাধনী পণ্য।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (নিলাম) মাজেদুল হক বলেন, ‘আমদানিকারকরা বন্দর থেকে খালাস না নেওয়ায় ২০৩ কনটেইনার পণ্য মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। এসব কনটেইনারে মোট ৪৪ লাখ কেজি পণ্য রয়েছে, যার আমদানি মূল্য প্রায় ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

মাটিচাপা দেওয়া এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে আপেল, কমলা, মাল্টা, পেঁয়াজ, মুরগির খাবার, এনার্জি ড্রিংক, সূর্যমুখী তেল, ফলের জুস, প্রসাধনী ও স্যানিটারি ন্যাপকিন। এর মধ্যে অধিকাংশ পণ্যই পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার কাজী জিয়া উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ধ্বংস করা পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ খৈল। যা আমদানি করে ছাড় নেয়নি আমদানিকারক কোম্পানি। এছাড়াও মৌসুমী ফল রয়েছে প্রচুর।’

তিনি বলেন, ‘কাঁচা ফলমূল আমদানিকারকদের অধিকাংশই মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী। অনেক সময় বাজারে ফলের দাম পড়ে যায়। তখন শুল্ক-কর ও মাশুল পরিশোধ করে খালাস নিতে গেলে আরও লোকসানের আশঙ্কা থাকে। তাই মৌসুমী আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করেন না।’

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!