মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ নেতারাই ছিঁড়লেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির ব্যানার

নেতৃত্বে জাকারিয়া দস্তগীরের অনুসারী কাজী নাঈম

চট্টগ্রামের মহসিন কলেজে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হল ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বেই।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কাজী নাঈমের নেতৃত্বে এসব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে এর প্রমাণ মিলেছে।

কাজী নাঈম চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

মহান বিজয় দিবস ও শীতবস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে আলাদা আলাদা এই দুটি ব্যানার কলেজ ক্যাম্পাসে লাগিয়েছিল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাজী নাঈমসহ তিনজনের একটি দল প্রথমে লম্বা লাঠির মাথায় ধারালো কিছু বেধে তা দিয়ে ব্যানারের এক পাশ কেটে দেয়। পরে সে অংশ ধরে টেনে পুরো ব্যানারটি ছিঁড়ে সেখান থেকে চলে যায়। এর আগে তারা প্রথমে কয়েক দফা লাফিয়ে লাফিয়ে ব্যানার ছেঁড়ার চেষ্টা করে।

এটিকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির চরম অসম্মান অভিহিত করে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ওয়াহাব কমল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ব্যানার দিয়েছিলাম। এই ক্যাম্পাস দীর্ঘদিন জামায়াত-শিবিরের দখলে ছিল। তখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে ব্যানার তোলা যেত না। এখন এখান থেকে জামাত শিবিরকে বিতাড়িত করা গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা থেকে গেছে। ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে তারা জামায়াত-শিবিরের এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করে চলছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা আর বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্মিলিত ব্যানার অসম্মান দেখিয়ে ছিঁড়ে ফেলা একই অপরাধ। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী নাঈমকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে কাজী নাঈমকে নিজের অনুসারী মানতে নারাজ নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নিজেকে আমার অনুসারী বলে তাহলে সেটাতো আর আমার জানার সুযোগ নেই। তবে যেহেতু সংগঠনের দায়িত্বে আছি। সেহেতু অনেকেই এমন দাবি করতে পারে।’

ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টা আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। আমি ভিডিওটা দেখে এই বিষয়ে আপনার সাথে কথা বলবো।’

এরপর জাকারিয়া দস্তগীরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!