মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরে ভিড়তে যাচ্ছে প্রথম জাহাজ ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’

মহেশখালীর মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্রবন্দরে পাওয়ার প্লান্টের মালামাল নিয়ে ভিড়তে যাচ্ছে প্রথম জাহাজ। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ কাজ চলার মধ্যেই সেখানে ভিড়তে যাচ্ছে পানামার পতাকাবাহী এ জাহাজটি। জাপানী কনস্ট্রাকশন কোম্পানি জাহাজটিতে নিয়ে আসছে এ প্রকল্পের মালামাল। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই জাহাজটি মাতারবাড়ি চ্যানেলে প্রবেশের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার সকাল ৭টায় ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ নামের জাহাজটি মাতারবাড়িতে নোঙ্গর করবে। জাহাজটিকে অভ্যর্থনা জানাতে জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কর্মকর্তারা মাতারবাড়ীতে পৌঁছেছেন।

গত ২২ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার ‘পেলাভুবন সিলেগন’ বন্দর থেকে মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নিয়ে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের দিকে রওনা দিয়েছে এই জাহাজটি। জাহাজটির পানির নিচের অংশের গভীরতা(ড্রাফট) সাড়ে পাঁচ মিটার।

‘ভেনাস ট্রায়াম্প’ নামের জাহাজটি জেনারেল কার্গো শিপ। ২০০৯ সালে জাহাজটি নির্মিত হয়েছে। এটি ১২০ মিটার লম্বা ও নয় হাজার ৬৮০ টন ওজন ক্ষমতাসম্পন্ন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন আতাউল হাকিম সিদ্দিকি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৭টায় মাতারবাড়ি বন্দরে জাহাজটি ভিড়বে। এটিকে অভ্যর্থনা জানাতে আমরা বর্তমানে মাতারবাড়িতে পৌঁছেছি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মিত জেটিতে এ জাহাজটিকে নোঙ্গর করাবেন চট্টগ্রাম বন্দরের পাইলটরা।’

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে চ্যানেল দিয়েই জাহাজটি গভীর সমুদ্রবন্দরের জেটিতে প্রবেশ করবে। জাহাজটি ভেড়ানোর জন্য মাতারবাড়িতে প্রবেশ পথে ছয়টি বয়া (নির্দেশক) বসানো হয়েছে। যে চ্যানেল দিয়ে জাহাজটি ভিড়বে সেটির প্রস্থ ২৫০ মিটার, গভীরতা ১৮ মিটার ও দৈর্ঘ্য ১৪ কিলোমিটার।

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমা মাতারবাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। এজন্য পোর্ট অফ কল ধরা হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। জাহাজটি ভিড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মাসুল আদায় সব কিছুই করবে চট্টগ্রাম বন্দর।

প্রসঙ্গত, জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প। দুই ধাপে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের মধ্যে। এর প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার পর এই বন্দরে ভিড়তে পারবে ১৮ মিটার গভীরতার জাহাজ।

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!