বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে এ ভিক্ষুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার ছেলে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আজ রবিবার ভোরে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযানে আবদুর রহিম (২৬), জিয়াউল হক (২৫) ও সামং চাক (৩২) নামে এ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তারা।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরের বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুর ছেলে অং সাথোয়াই গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তার বাবার হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রবিবার ভোরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
গতকাল শনিবার ভোরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে উ দেমা উয়াছা (৭৮) নামে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সকাল সাড়ে আটটায় ভিক্ষুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি নাইক্ষংছড়ি উপজেলা সদর থেকে ২০-২৫ কিলোমিটার দূরবর্তী বাইশারি থানার উপর চাকপাড়া গ্রামের চাক নির্বাণ বৌদ্ধ ক্যাংয়ের প্রধান ভিক্ষু বা ভান্তে ছিলেন। তিনি দু বছর আগে ওই ক্যাংয়ের ভান্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে উ দেমা উয়াছা নাম গ্রহণ করেন। তার আগে তার নাম ছিল মং সই উ চাক।