ভারত বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু-চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ভারতকে বাংলাদেশের দুঃসময়ের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ১৯৭১ সনে ভারত বাংলাদেশের পাশে থেকে স্বাধীনতার জন্য যে অবদান রেখেছে বাংলাদেশ তা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীর বহু সদস্য জীবন উৎসর্গ করে যা- ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা (Dr. Adarsh Swaika) এবং সহকারী হাই কমিশানর শ্রী সোমনাথ হালদার (Shri Somnath Halder) ’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন মেয়র।

DSC_1225

 

সাক্ষাতে মেয়রেআরো বলেন, বাংলাদেশে অনেক খাতে ভারত পুঁজি বিনিয়োগ করছে এবং বাংলাদেশের পণ্য ভারতে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে- যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন স্থায়ী সীমান্ত বিরোধ মিমাংসা হওয়ায় সুপ্রতিবেশী ভারতের বন্ধু সুলভ আচরনকে স্বাগত জানান।

 

তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠায় উভয় দেশের জন্য শংকার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যে কোন জঙ্গী এক দেশে থেকে আরেক দেশে যাতে পালিয়ে আত্মগোপন করে যাতে থাকতে না পারে সে বিষয়ে উভয় দেশকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম শান্তি ও নিরাপদ এলাকা। এখানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক রয়েছে। জঙ্গী তৎপরতাও নিয়ন্ত্রিত। চট্টগ্রামে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান স্বাধীন ভাবে সম্পাদন করে চলেছে।

 

আসন্ন ঈদুল আযহা ও দুর্গা পূজায় মুসলমান এবং হিন্দু সম্প্রদায় সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সম্পাদনে কোন ধরনের বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হওয়ার কোন  সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে মেয়র বলেন, সংখ্যালঘু বা সংখ্যাঘরিষ্ট সম্প্রদায় বিবেচনায় এনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোনই সুযোগ নেই। আবহমান কাল থেকে চট্টগ্রাম ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এখানে সকল ধর্ম-গোত্রের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি সহ যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।

 

মাষ্টার দা সূর্য সেনের নামে একটি নির্দিষ্ট জায়গাকে নামকরণ সহ তার ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে জানিয়েছেন মেয়র। সিটি মেয়র তাঁর ভিশন প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের নগরীতে রূপান্তরের প্রচেষ্টা চলছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটিতে উন্নিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। অচিরেই চট্টগ্রাম নিরাপদ বিনিয়োগবান্ধব নগরীতে রূপ নেবে।

 

মেয়র প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ও সহকারী হাই কমিশনারকে তার কার্যালয়ে ফুল এবং ক্রেস্ট উপহার দিয়ে স্বাগত জানান।

 

সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ও সহকারী হাই কমিশনার  বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং থাকবে। বিদ্যুৎ সহ নানা খাতে ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগে সর্বক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে যাবে। এমনকি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিষ্টেম, টু ইন ওয়ান সিটি সহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগী হতে আগ্রহী।

 

ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ও সহকারী হাই কমিশনার মেয়রের কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা আশা করেন বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বিশ্বমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিনত হবে।

 

সাক্ষাত বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. গিয়াস উদ্দিন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!