বৃষ্টি থামলেও নামেনি পানি, দুর্ভোগ চান্দগাঁও আবাসিকে

বৃষ্টি কমলেও পানি কমছে না চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায়। পানিবন্দি রয়েছে আবাসিকের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। সকাল থেকে কোমর পর্যন্ত পানি ছিল। তবে এখন কিছুটা কমে গিয়ে হাঁটুপরিমাণ পানি জমে দুর্ভোগে পড়েছে চান্দগাঁও আবাসিকের মানুষ। সেখানে সবকটি সড়কে জনচলাচল ও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) ভোর থেকে টানা বর্ষণে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকাসহ বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় পানিবন্দি অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় পানিবন্দি অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

জানা যায়, ভোরের টানা বৃষ্টিতে চান্দগাঁওয়ের পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সাড়ে ৫০০ ভবনের বাসিন্দারা। চান্দগাঁও আবাসিকের বি ব্লক, এ ব্লক, চন্দ্রিমা আবাসিক, নিউ চান্দগাঁও আবাসিকের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ভোর থেকে রাতেও পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।

সড়কে পানি জমে থাকায় বড় বড় গর্তের কারণে যান চলাচলের অনুপযোগী পড়ে পড়েছে আবাসিকের সড়কগুলো। এ রিপোর্ট লেখা (রাত ৯টা) পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় এসব মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পানিবন্দি পুরো এলাকার মানুষ।
প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পানিবন্দি পুরো এলাকার মানুষ।

চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতি (বি-ব্লক) সহ সভাপতি লায়ন আহসানুল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সকাল থেকে এখনও (রাত আটটা) পর্যন্ত আবাসিকের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। হাঁটু পরিমাণ পানিতে গাড়ি চলাচলও করতে পারছে না। দীর্ঘক্ষণ পানি জমে থাকায় আবাসিকের সবকটি সড়ক জনচলাচল ও যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত।’

৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চসিকের সবচেয়ে বড় ও ঘনবসতি ওয়ার্ড হিসেবে সবাই চেনেন। প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পানিবন্দি পুরো এলাকার মানুষ। কোথাও একটু জায়গা নেই যেখানে প্লাবিত হয়নি। এ ব্যাপারে সিডিএ চেয়ারম্যানকে বলেছি। উনি আশ্বাস দেওয়ার দুদিন পর বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখন আর কী করা। এটা সিডিএর সাবেক ও নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই ভাল বলতে পারবেন এ বিষয়ে।’

আজাদ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!