বিয়ের কথা জানতেই চট্টগ্রামে প্রেমিকাকে মেরে প্রেমিকেরও আত্মহত্যা

চাকরি পেয়েছিল প্রেমিক, কিন্তু তার আগেই প্রেমিকার বিয়ে ঠিক

চট্টগ্রামে প্রেমিকাকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন প্রেমিকও। দুই বছরের প্রেমের পর প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলে প্রেমিক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি গ্রামের সুব্রত মুৎসুদ্দীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

১৯ বছর বয়সী প্রেমিকার নাম অন্বেষা চৌধুরী আশামনি। তিনি মহামুনি গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন চৌধুরীর বাড়ির রণজিৎ চৌধুরী বাবলুর মেয়ে। অন্বেষা নোয়াপাড়া কলেজে স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তবে কলেজে তার যাওয়া-আসা ছিল খুবই কম। তবে তিনি টিউশনি করতেন নিয়মিত।

অন্যদিকে ২৬ বছর বয়সী প্রেমিকের নাম জয় মুৎসুদ্দী। তিনি ওই গ্রামেরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিলেন্দু বড়ুয়া নিলুর ছেলে। এসএসসি পাশ করার পর থেকে তিনি বাবার চায়ের দোকান দেখাশোনা করতেন। তবে ১ মার্চ থেকে একটি চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার।

জানা গেছে, অন্বেষা ও জয় দুজনই এবার এসএসসি পাশ করেন। গত দুই বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর মধ্যে আগামী ১০ মার্চ রাঙ্গুনিয়ার শিলকের বাসিন্দা ফ্রান্সপ্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে অন্বেষার বিয়ের দিন ঠিক করে পরিবার। ৭ মার্চ ঠিক হয় আশীর্বাদ অনুষ্ঠান। প্রেমিক জয় বেকার হওয়ায় অন্বেষারও সেই বিয়েতে অমত ছিল না।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে টিউশনি করতে ঘর হতে বের হন অন্বেষা। পরে রাত ৯টার দিকে অন্বেষাকে ডেকে নেন জয়। এরপর জয় তার চাচার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান অন্বেষাকে। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় অন্বেষাকে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে গলায় ছুরিকাঘাতও করেন জয়। এরপর জয় নিজেও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খাটের ওপর থেকে জয়ের লাশ এবং মাটিতে পড়ে থাকা অন্বেষার লাশ উদ্ধার করে। গভীর রাতে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় রাউজান থানার পুলিশ।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!