বিধবার রহস্যজনক মৃত্যু, জেলখাটা পাতানো ভাই পলাতক

বোয়ালখালী

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রমিজা খাতুন (৫২) নামের এক ৪ সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) পৌরসভার বহদ্দার পাড়ার আবদুস সালামের ভাড়া ঘরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত রমিজা খাতুন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের বদিউল আলমের স্ত্রী। তার ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। ২৬ বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

নিহতের ছেলে মো. রুবেল বলেন, ‘৪ মাস আগে বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দার পাড়ায় পাতানো ভাই মো. আলমগীরকে নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠেন আমার মা। ওই বাসায় গিয়ে আলমগীরকে এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। আমার বড় ভাই প্রাসে থাকেন, মেঝ ভাই একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে নগরীতে পরিবার নিয়ে থাকেন। আমি বাঁশখালীর শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। মো. আলমগীরের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বলে জানি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আলমগীর বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন। সে আমার মাকে খুন করে পালিয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

স্থানীয়রা জানান, রমিজার পাতানো ভাই আলমগীর ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে বৈদ্যালির ব্যবসা করতো। বৈদ্যালির সুবাদে মো. আলমগীরের সঙ্গে রমিজা খাতুনের পরিচয়। সর্বশেষ বুধবার সকাল ৮টায় আলমগীরকে দোকান থেকে পান কিনতে দেখা গেছে।

বোয়ালখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. তাজ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে একটি ভাড়া বাসা থেকে রমিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রমিজার মরদেহ একটি পালঙ্কের উপর পড়ে ছিলো। তার গলায় কালচে দাগ রয়েছে। পাতানো ভাই মো. আলমগীর পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নেয়ামত উল­াহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করছি। সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিস্তারিত জানা যাবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!