আমিনুল হক শাহীন : চট্টগ্রাম বাশঁখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ স্থাপনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি সমাবেশে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি স্থানীয় প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতার উস্কানীকেই দায়ী করছে বাশঁখালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও দক্ষিন জেলা ছাত্র জনতা। বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে নিহতদের পক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এমন দাবী করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
মানববন্ধনে বলা হয়, বিএনপি নেতা লিয়াকতের উস্কানীতে একটি কুচক্রি মহল বাশঁখালী কয়লা বিদ্যুৎ নির্মান কাজে বাঁধা দিয়ে উন্নয়ন প্রতিহত করতে চায়। বাশঁখালীর পাওয়ার প্লান্টকে নৎসাত করতে বি এন পি নেতা লিয়াকত আলী প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়ে মো,মুর্তজা আলী, মো. আনোয়ার, মো. জাকির আহম্মদ ও নাসিমা আক্তারকে হত্যা করেছে দাবী তাদের।
এই অশুভ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নানান কুপ্ররোচনা দিয়ে এলাকায় উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করে চট্টগ্রামকে বিদ্যুৎ আলো থেকে অন্ধকারে রাখতে চায়।
তারা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাঁচ হাজার মানুষের র্কমসংস্থান হবে। উন্নয়ন ও আলোর মুখ দেখবে দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে থাকা বাঁশখালী। উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করা ও উস্কানী দিয়ে মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হত্যাযজ্ঞের মূল উস্কানীদাতা লিয়াকত আলীসহ সহল কুচক্রীমহলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানানো হয় এ মানববন্ধনে।
বাশঁখালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও দক্ষিন জেলা ছাত্র জনতার পক্ষে বক্তব্য রাখেন, হারিস মাহমুদ সিকদার জনি, সরওয়ার খান সাইমুন, ইমতিয়াজ আহম্মাদ, মোশারফ হোসেন, ইব্্রাহিম সোহেল, ওসমান গণি জনি, জসিম উদ্দিন, মাশফিক চৌধুরী রনি, শাকিল আহম্ম্দ রিজভী ও মো.গিয়াসসহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দরা।
গত সোমবার (০৪ এপ্রিল) বাঁশখালী হাজীপাড়া স্কুল মাঠে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষে-বিপক্ষে দুই গ্রুপের সমাবেশকে ঘিরে গ্রামবাসী, আনসার ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ৪ জন নিহত এবং ১১ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।