বিএনপি নামক দলটি নানা ষড়যন্ত্রের জাল পাতছে, বললেন আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখে বিএনপি নামক দলটি নানা ষড়যন্ত্রের জাল পাতছে। তারা সকালে বলে এক কথা, আবার বিকেলে বলেন আরেক কথা। বিগত নির্বাচনগুলোতে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছেই বিএনপি আস্থা হারিয়েছে। রমজান মাসে মাঠ গরম করার জন্য তারা আবারও আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। তাদের এই মিথ্যাচার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মত। কিন্তু দেশের মানুষ বোকা নয়। তাদের মন ভুলানো মিথ্যা কথা দেশের মানুষ বুঝতে পারে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন বশিরুজ্জামান চত্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর ও আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে মহান মে দিবসের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ হানাহানি, বোমাবাজি, গাড়িতে আগুন চায় না। মানুষ সুখে শান্তিতে উন্নত আধুনিক জীবন নিয়ে বাঁচতে চায়। মানুষের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ড নেই। তাদের চিন্তা শুধু নিজেদের নিয়ে। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মিথ্যাচারের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে বিএনপিকে পদক দেওয়া উচিত।’

এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফর আলী।

বক্তব্য রাখেন মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুবা আহসান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় শ্রমিক লীগ অন্তর্ভুক্ত বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মো মিরন হোসেন মিলন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম দোকান কর্মচারী-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আলমগীর, বক্সিরহাট ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ওমর মিয়া, তামাকুমন্ডি লেইন দোকান কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. বখতিয়ার, টেরিবাজার হকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. লোকমান হাকিম, নগর পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি মো. বেলাল হোসেন, কার্যকরী সভাপতি মো. আলী আকবর।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি এম জসিম উদ্দিন রানা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো নুরুল আমিন।