বন্দরে তিন নম্বর সংকেত, দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত সীতাকুণ্ডে
বৃষ্টি থাকবে মঙ্গলবারও
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সীতাকুণ্ডে ২৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলমান ভারী বৃষ্টিপাত কাল মঙ্গলবারও (৯ জুলাই) অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্দ্বীপে ১৬৭ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ২৩১ মিলিমিটার, রাঙ্গামাটিতে ২০৭ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ১৮ মিলিমিটার, চাঁদপুরে পাঁচ মিলিমিটার, মাইজদীকোর্টে ১১৮ মিলিমিটার, ফেনীতে ৮৯ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১৭৯ মিলিমিটার, কক্সবাজারে ২৪ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৮৯ মিলিমিটার, টেকনাফে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ে পতেঙ্গার আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়া পূর্বভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সঙ্গে অধিকাাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ মাঝারি থেকে অতি ভারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তীত থাকতে পারে। বাাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮) মিলি মিটার থেকে অতি ভারী (>৮৯ মিলি মিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১৫-১৮ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৩৫-৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ কয়েকটি জেলায় সোমবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা কাল মঙ্গলবার সকাল দশটা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও পাহাড় ধ্বসের আশংকা রয়েছে।’
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরসহ সমুদ্রবন্দরসমূহের জন্য তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার বিকালে জারি করা অধিদপ্তরের আবহাওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর (পুনঃ) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাই উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
এমএ/এএইচ