বন্দরে কনটেইনার রেখে কৌশলে পণ্য নিয়ে গেল চট্টগ্রামের সিএন্ডএফ

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা অবস্থায় ৪০ ফুটের এক কনটেইনার থেকে আমদানি করা গার্মেন্টস পণ্য গায়েব হয়ে গেছে।

রোববার (৩ মে) শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সময় এ তথ্য জানতে পারে কাস্টমস হাউস। এ সময় কনটেইনারটি পুরো খালি পান কর্মকর্তারা। ওই কনটেইনারে ২৬ হাজার ৩০০ কেজি ফ্রেব্রিক্স ছিল।

এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসে। তবে এর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে কাস্টমসের কাস্টমসের অডিট ইভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা।

এআইআর শাখা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সিএন্ডএফ এজেন্ট আরএম এসোসিয়েট গত ১৯ এপ্রিল আর্ট কার্ড ৩০০ জিএসএম খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। পণ্য খালাসের সময় প্রয়োজনীয় ৪টি গাড়ির অতিরিক্ত আরও দুটি গাড়ি নিয়ে যায় তারা। ওই দুটি গাড়িতে করে ঢাকার সবুজবাগের কেমস ফ্যাশনের চীন থেকে আমদানি করা ফেব্রিক্স পণ্য কাস্টমস ও বন্দর নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পণ্যগুলো চীন থেকে সমুদ্রপথে এমসিসি ড্যানিং জাহাজযোগে গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কিন্তু কাস্টমসকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় পণ্য চালানের বিপরীতে কোনো বিল অফ এন্ট্রি দাখিল না করে শুল্ক-কর ফাঁকি দিতে কৌশলে পণ্যগুলো নিয়ে গেছে।

গোপন সংবাদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, গত এপ্রিলে পণ্যবাহী একটি কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-০৫৬৯) চট্টগ্রাম বন্দর থানায় আটক রয়েছে। ওই কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে কনটেইনারের পণ্য নিয়ে যাওয়ার যোগসূত্র থাকতে পারে।

এ বিষয়ে কাস্টমসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা অনসূয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে রাজস্ব ফাঁকি ও চোরাচালানের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!