চট্টগ্রাম নগরীর মোমিন রোডের খাদ্যপণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বনফুলকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক রাখা ছাড়াও বৈধ আমদানিকারকবিহীন বিদেশি পণ্য রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে রাখা অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক পরে ধ্বংস করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় দেওয়ান বাজার সাব এরিয়া ও মোমিন রোড এলাকায় পরিচালিত এক অভিযানে বনফুলসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ধারায় মোট ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
এই অভিযানে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংক, নকল চেরি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য, মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধও ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে ফ্লেভারস সুইটস এন্ড বেকারসকে প্যাকেটজাত পেস্ট্রি কেক ও প্লেইন কেকে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উল্লেখ না করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
অন্যদিকে দেওয়ানবাজার সাবএরিয়া বাজারের ডেইলি মার্টকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক সংরক্ষণ, নকল চেরি সংরক্ষণ, মোড়কজাত বিধি না মানা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া সিজলের পরিবেশক জাহান ফুডকে মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও মিষ্টি সংরক্ষণ করায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করে ওইসব দই-মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।
বাকলিয়া থানার বাংলাদেশ সুইটসকে সংবাদপত্র ব্যবহার করে খাবার সংরক্ষণ করা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দেওয়ান বাজারের নূরজাহান সুপার শপকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিশুখাদ্য (গুড়া দুধ) সংরক্ষণ ও লেবেল বিহীন মোড়কজাত তরল দুধ সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই এলাকার চৌধুরী মেডিকোকে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মেয়াদ বিহীন ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এই অভিযান পরিচালনা করেন।