সাতকানিয়ার পাহাড়ে ময়মনসিংহের দুই ব্যবসায়ীকে জিম্মি

মাছের প্রজেক্ট দেখানোর কথা বলে ডেকে আনা হয়

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মাছের প্রজেক্ট দেখানোর কথা বলে দুই ব্যবসায়ীকে ডেকে আনা হয় ময়মনসিংহ থেকে। এরপর তাদের পাহাড়ে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা চলে। ব্যবসায়ীর স্বজনরা কিছু মুক্তিপণও পরিশোধ করে। এর মধ্যেই অপহৃত এক ব্যবসায়ী কৌশলে পালিয়ে এসে পুলিশকে ঘটনা জানায়। পরে পুলিশের অভিযানে অন্য ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা ছাড়াও অপহরণকারী চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত পর্যন্ত এই অভিযান চালায় সাতকানিয়া থানার পুলিশ।

এ ঘটনায় অপহরণের শিকার হওয়া ওই দুই ব্যবসায়ী হলেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার জুহুর আলীর ছেলে মোরশেদ আলী (৪২) এবং তার বন্ধু একই এলাকার ছমির উদ্দিনের ছেলে রিপন (৪২)।

অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া অপহরণকারী চক্রের চার সদস্য হলেন সাতকানিয়ার পুরানগড়ের মধ্যম মনেয়াবাদ এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে হেলাল উদ্দীন, বাজালিয়ার বড়দুয়ারা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে আরিফুল ইসলাম শাকিব, একই এলাকার ছালে আহাম্মদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম এবং পুরানগড় ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে শহিদুল আলম।

পুলিশ জানায়, অপহরণকারী এই চক্রটি মাছ-গাছ-কলা-পাথর-ফলের বাগান বিক্রি করার কথা বলে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন নিয়ে এসে জিম্মি করে মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো।

জানা গেছে, ময়মনসিংহের ব্যবসায়ী মোরশেদ আলী ও তার বন্ধু রিপন মাছের পোনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অপহরণকারী চক্রটি সাতকানিয়ায় মাছের পোনার প্রজেক্ট দেখানোর কথা বলে ময়মনসিংহের এই দুই ব্যবসায়ীকে সাতকানিয়ায় নিয়ে আসে। এরপর তাদের পুরানগড়ের দক্ষিণ কদমতলী কামারের ঘোনায় দেলোয়ারের ম্যালেরিয়া গাছের বাগানে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে একপর্যায়ে তাদের জিম্মি করে তাদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্রটি। নইলে তাদের হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ওই দুই ব্যবসায়ীর স্বজনরা বিভিন্ন বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৪ হাজার টাকা মুক্তিপণও পাঠায়।

এরই মধ্যে অপহৃতদের একজন মোরশেদ আলী কৌশলে পুরানগড় থেকে পালিয়ে এসে সাতকানিয়া থানায় বিষয়টি জানালে থানার পুলিশ অভিযানে নামে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত পর্যন্ত টানা অভিযান চালায় সাতকানিয়া থানার পুলিশ। এ সময় অপহৃত অন্য ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা ছাড়াও অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাছের পোনা বিক্রির কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এই ঘটনায় সাতকানিয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যে অন্তত ১০ জনকে শনাক্ত করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!