ফিশারীঘাটে মাছ লুটের মামলা তদন্তে এবার পিবিআই

চট্টগ্রামের নতুন ফিশারিঘাট এলাকায় মাছ বেচাকেনার দ্বন্দ্বে আলী হোসেন (৫৫) নামে এক বোটের মাঝির কাছ থেকে সাড়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ ও জাল লুটের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক জাহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম নগরের বাকলিয়া থানার নতুন ফিশারি ঘাট মাছবাজার এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মাছ লুটের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান পিবিআই কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর পৃথক দুটি তারিখে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৪জন মাছ বিক্রি করতে দেনা-পাওনায় বনিবনা না হলে জোর করে ছিনিয়ে আলী হোসেনের কাছ থেকে মাছ ও জাল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আহরণ করা ৩৫ মণ ইলিশসহ মোট ৮৫ মণ মাছ লুট করা হয়। যার মূল্য ছিল প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তারা ২০ পিস জালও ছিনিয়ে নেয়। যার মূল্য ছিল ৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় আলী হোসেন প্রতিবাদ করায় উল্টো তাকে দুটি মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় আসামিরা।

ঘটনাস্থলে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর পৃথক দুটি তারিখে সাগর থেকে মাছ আহরণ করে আনার পর বিক্রির উদ্দেশ্যে নতুন ফিশারি ঘাট মাছবাজার নদীরচরে নোঙ্গর করেন আলী হোসেনের বোট। সোমবার সরেজমিনে এসেই আসামি ও গদির লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চারজনকে আসামি একটি মামলা দায়ের করে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার হোসেন মাঝির বাড়ির মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র মো. আলী হোসেন। এই মামলায় সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সরকার, ৫৮ নম্বর মাছের গদির স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম ও জসিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!