প্রতিবন্ধী সেই ছোট্টমণির ঠাঁই হচ্ছে ছোটমনি নিবাসে

চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাস্টিক কোম্পানির অফিসের সামনে থেকে কুড়িয়ে পাওয়া অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান মিলেনি দুই সপ্তাহেও। চিকিৎসা শেষে আদালতের নির্দেশে দেড় বছর বয়সী শিশুটির স্থান হচ্ছে রৌফাবাদ ছোটমনি নিবাসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দেড় বছর বয়সের ওই শিশুটিকে চিকিৎসা শেষে আমরা মহানগর হাকিমের আদালতে সোপর্দ করি। আদালত সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীন রৌফবাদের ছোটমনি নিবাসে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালতের আদেশে আমরা শিশুটিকে ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করেছি।

প্রসঙ্গত, ১৫ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অজ্ঞাত এই শিশুটিকে আহত অবস্থায় মুরাদপুর এন মোহাম্মদ কনভেনশনের সামনে থেকে উদ্ধার করে পাঁচলাইশ থানার টহল টিম। শিশুটির নাকে পোড়া দাগের চিহ্ন ছিল। পা দুটো ছিল দূর্বল। শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক নুরুন নাহার জান্নাতী জানান, এ নিয়ে ছোটমনি নিবাসে তাদের যত্নে লালিত হচ্ছে ৩৪ শিশু।

প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি হালিশহর এলাকায় উদ্দেশ্যহীন অবস্থায় ঘুরোঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা ৭০ বছরের হাজেরা বেগম নামের এক বৃদ্ধাকে হালিশহর থানায় পৌঁছে দেন। চারদিন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ডবলমুরিংয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার পর আদালত সেই বৃদ্ধাকে কাশিমপুর ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেয়।

১৩ জানুয়ারি আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে শ্রবণ প্রতিবন্ধী তরুণীকে উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ওই তরুণীর নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। আদালতের আদেশে তাকে নগরীর রৌফাবাদস্থ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পুনর্বাসন কেন্দ্র পাঠানো হয়েছিল।

এফএম/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!