প্রতিবন্ধীর সম্পদ দালাল চক্রের পেটে !

প্রতিবন্ধীর সম্পদ দালাল চক্রের পেটে ! 1কুতুবদিয়া প্রতিনিধি : কুতুবদিয়ায় এক শ্রেণীর লবণ দালাল চক্র কর্তৃক প্রতিবন্ধীর সম্পদ দখল করায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কুতুবদিয়া দ্বীপের লেমশীখালী ইউপি সদস্য নাজেম উদ্দিন নাজু ও শফিউল আলম বাবুল মিলে একই ইউনিয়নের বশির উল্লাহ সিকদার বাড়ীর প্রতিবন্ধী শামসুদ্দোহাসহ ৪ প্রতিবন্ধীর পৈত্রিক সম্পদ ৪০ শতক লবণ মাঠের জমি জোরপূর্বক বিগত ১ যুগ ধরে ভোগ করে আসছে। এতে প্রতিবন্ধী পরিবারের প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী তুলেন পরিবারের প্রধান শামসুদ্দোহা সিকদার। দালালচক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় গ্রাম আদালতে শালিস বিচার দিয়ে কোন ধরণের প্রতিকার না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে আক্ষেপের সাথে এ প্রতিনিধিকে বলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একই পরিবারে ৪জন প্রতিবন্ধী। শামসুদ্দোহা একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। তার তিন সন্তান বাক ও শারিরিক প্রতিবন্ধী। বাক ও শারিরিক প্রতিবন্ধী রিমা আকতার (২২) ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি। তুলি আকতার (১৮) শারিরিক প্রতিবন্ধী সে বর্তমানে পাশ্ববর্তী একটি প্রাইমারী স্কুলে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায় আছে। মনিরুজ্জামান মহিন (১২) শারিরিক প্রতিবন্ধী সে আনন্দ স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।
প্রতিবন্ধী শামসুদ্দোহার স্ত্রী জোবাইদা বেগম জানান, জন্মগতভাবে তাদের তিন সন্তান প্রতিবন্ধী। স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এ সুবাদে স্থানীয় ইউপির সদস্য ও প্রভাবশালী চিহ্নিত ভূমিদস্যু দীর্ঘ এক যুগ ধরে ৪০ শতক লবণমাঠের জমি দখল করে রাখে। গত বছর ৩০ আগস্ট ঐ লবণমাঠের জমি শামসুদ্দোহার আতœীয়স্বজন নিয়ে দখলে গেলে দালাল চক্রের লোক বারেক উল্লাহ ও আবু বক্কর ছিদ্দিক তাদেরকে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে গত বছর ৩০ অক্টোবর নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট (্ইউএনও) কে লিখিত অভিযোগ দিলে ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন। বিগত ৪ মাস অতিবাহত হয়ে গেলেও স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি ইউএনওর নিকট। লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকতার হোছাইনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের ইউপির সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযুক্ত ইউপির সদস্য নাজেম উদ্দিন নাজুর সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, বিগত এক যুগ পূর্বে শামসুদ্দোহার থেকে তার পিতা আবু বক্কর ছিদ্দিককে কবলা সম্পাদন করে বিক্রি করে। শামসুদ্দোহার দাবী অযৌক্তিক। তবে শালিসি বৈঠকের কথা তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!