চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে পিকনিকের নামে চলছে চাঁদার জুলুম। শুধু চাঁদা নয়, ব্যবসায়ীদের জোর প্রয়োগ করে পিকনিকে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি দু’দিন ওষুধের দোকান বন্ধ রাখতে ব্যবসায়ীদের চাপ সৃষ্টি করছেন ওষুধ ব্যবসায়ী নেতারা।
জানা গেছে, আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর (দু’দিন) পিকনিকে যাচ্ছেন হাজরী লেইন ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতির সদস্যরা। এ উপলক্ষে প্রত্যেক সদস্যের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই সমিতির নেতারা হাজারী লেইনের ২৭টি মার্কেটে প্রায় ৫০০টি দোকানকে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে চাপ সৃষ্টি করছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের দোকান বন্ধ রাখা অমানবিক ও ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাইকারি ও খুচরা দোকানদারেরা হাজারী গলি থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার ওষুধ নিয়ে যান। এসব পাইকারি ওষুধের দোকান বন্ধ রাখলে জরুরি ওষুধ সরবরাহে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম। যার ইচ্ছা সে পিকনিকে যাবে কিংবা দোকান বন্ধ রাখবে। পিকনিকের নামে কাউকে চাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়।
ছবি ফার্মেসির তপন বৈদ্য, অমিয় প্রাগ হাউসের শ্যামলসহ একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন- তাদের পিকনিকে যেতে ও মার্কেট বন্ধ রাখতে জোর করছে সমিতির নেতারা।
এর আগে গত বছরও হাজারী গলিতে ওষুধের দোকান বন্ধ রাখতে চাপ প্রয়োগ করেছিল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা। পরে ব্যবসায়ীরা কোতোয়ালী থানায় একটি অভিযোগ করলে ওসি মহসিন পিকনিকে যেতে জোর না করতে ও দোকান বন্ধ না করতে ওই সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে মুলচেলা নেন।
হাজারী লেইন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. শফিউল আজম বলেন, ‘কিছু ভেজাল ও সরকারি ওষুধ ব্যবসায়ীরা সব ব্যবসায়ীদের পিকনিকে যেতে ও মার্কেট বন্ধ রাখতে চাপ প্রয়োগ করছে। যা অমানবিক ও অন্যায়। যার ইচ্ছা সে পিকনিকে যাবে ও দোকান বন্ধ রাখবে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা এসব ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি সমির কান্তি বলেন, ‘আমরা কাউকে দোকান বন্ধ রাখতে কিংবা পিকনিকে যেতে চাপ প্রয়োগ করিনি। যার ইচ্ছা সে যাবে আর যার ইচ্ছা নেই সে যাবে না।’
সিএম/এএইচ