পাহাড়ের ৩৫০ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

নগরের পাহাড়তলী, হাটহাজারী উপজেলা ও সীতাকুণ্ডে অভিযান

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামে। এজন্য বর্ষার আগে পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রভাবশালীদের কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। পাহাড়ে ঝঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদে এবার শক্ত অবস্থানে গিয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।

বুধবার (২৪ জুন) ১০ সংস্থাকে সাথে নিয়ে টানা ৬ ঘণ্টা অভিযান চালান পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর পাহাড়তলী, হাটহাজারী উপজেলার জালালাবাদ, সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে অবৈধ এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্থাপিত ৩৫০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
পাহাড়ের ৩৫০ অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন 1

অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক এবং জমির উদ্দিন। ওই সময় উপস্থি ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়, হাটহাজারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহ, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুস সামাদ শিকদার, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ অনিকসহ আরও অনেকে। এ অভিযানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থাও সহায়তা করেছে।

অভিযানে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, ‘এ অভিযানের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণের যে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল তা পূরণ হলো বলে আমরা মনে করি। এ কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস পাবে।’

প্রসংগত, ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ পাহাড় মালিকদের এক মাসের মধ্যে অবৈধ দখলমুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন।

এসআর/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!