নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১২ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চট্টগ্রাম ১২-এর চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহকারী জজ শেখ মো. মুহিবুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে তলব করা হয়।
আদেশে বলা হয়, আপনাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আপনি গত শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে পটিয়া কোলাগাঁও ইউনিয়নে শহর মসজিদের জুমার নামাজ ও মাজার জিয়ারত শেষ করে নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে নামেন এবং জনসংযোগ চালান।
এ সময় আপনি এলাকার লোকজনের সঙ্গে কোলাকুলি করেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট চান। এর পর গত শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) পটিয়া উপজেলাধীন শোভনদন্ডী ও কচুয়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুইটি বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করে নির্বাচনী প্রচারণা মূলক বক্তব্য রেখেছেন, যা দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া উক্ত সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীকে নানাভাবে ব্যক্তিগত চরিত্র হরণ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে তাকে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর তাহমিনা নাসরিন চৌধুরীর কর্তৃক এই অভিযোগ পাঠানো হয়।
গত বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ২ ঘটিকার সময় এই আদালত চত্বর থেকে হাইদগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ব্যানারে আপনার জন্য আপনার দলীয় প্রতীকে ভোট চেয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নাকের ডগায় একটি মিছিল বের করা হয়, যা এই কমিটির গোচরে আসলে মিছিলটি আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে শ্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।
এই কমিটি ঘটনাগুলোর প্রাথমিক সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে আপনার উক্ত কার্যক্রমসমূহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৫, ১১(ক) ও ১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে আপাতঃ প্রতীয়মান হয়।
আদেশে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে আরও বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সশরীরে উপস্থিত হয়ে আগামী (১৭ ডিসেম্বর) রোববার সিনিয়র সহকারী আদালত চন্দনাইশ কোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আদেশ দেওয়া হলো।