নৌকা ঠেকাতে কামান দাগাতে চান লোহাগাড়ার বাবুল চেয়ারম্যান

রাজনীতি শুরু করেন তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে। এরপর করেন বিএনপি। ছিলেন বিএনপির উপজেলা সভাপতি। তারপর ভোল পাল্টে হয়ে যান এলডিপি। এই দলের শীর্ষ নেতার সমর্থন নিয়ে হয়ে যান তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান। পরে যোগদেন আওয়ামী লীগে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বদান্যতায় বিদ্রোহী হয়েও তার মাথায় উঠে উপজেলা চেয়ারম্যানের মুকুট। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতিতে কথা দেন, দল বদলাবেন না তিনি আর, আওয়ামী লীগেই থাকবেন সবসময়।

কিন্তু না, সম্প্রতি তার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি দাঁড় করান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শুরু করেন নির্বাচনী প্রচারণা। নিজের আপন ভাগিনাকে আনারস মার্কা প্রতীকে প্রার্থী বানিয়ে বিব্রত করছেন তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বাবুলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে সম্প্রতি লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন নির্বাচনী ডামাডোল ঘিরে। এসব অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। এমনকি সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মাঠপর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই নন, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় নিজেকে আওয়ামী লীগ দাবি করা বাবুল এখন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকেও করছে বিব্রত।

তবে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল বর্তমানে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান। রাজনীতির শুরু তার স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের জাতীয় পার্টি মনোনীত সাংসদ ইব্রাহিম খলিল তার প্রথম রাজনৈতিক গুরু। এরশাদের পতনের পর বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুরু বদল করেন তিনি। গ্রহণ করেন বিএনপি নেতা কর্ণেল অলির শিষ্যত্ব। যোগদেন বিএনপিতে। বিএনপির উপজেলা সভাপতি হিসেবে পার করেন তিনি এক যুগেরও বেশি সময়। ২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির পতন হলে কর্ণেল অলির এলডিপিতে যোগদেন তিনি। কর্ণেল অলি ‘বিশ্বাস করে’ তাকে দায়িত্ব দেন উপজেলা এলডিপির সভাপতি হিসেবে। এলডিপির টিকিটে নির্বাচিত হন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানও। ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘেঁষতে শুরু করেন। টার্গেট উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নৌকার টিকিট। এমনকি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের রাজনৈতিক দরবারে ‘নাকে খত’ দিয়ে বাবুল বলেছিলেন- আর কখনো দল বদলাবেন না, আওয়ামী লীগই করবেন তিনি।

কিন্তু এই কথা তিনি রাখলেন না। দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার ভাগিনা শাহাবুদ্দিন চৌধুরীকে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামান বাবুল। নিজ ভাগিনাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশে বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছেন। এমনকি নির্বাচনী সভা-সমাবেশে নৌকা প্রতীক ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি রাজনৈতিক বিরোধীতার পাশাপাশি সশস্ত্র বিরোধীতার অভিযোগও উঠে বাবুলের বিরুদ্ধে। গত ১৬ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে লোহাগাড়া সদর এলাকায় বাবুলের অনুসারীরা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার চেষ্টা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দুই পক্ষে মাঝে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এসময় নৌকার প্রার্থী নুরুচ্ছফার অনুসারীরা বাবুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিটিজেন পার্কে ভাঙচুর চালায়।

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাবুল সাহেব আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কথা বললেও এখনো কাগজে-কলমে তিনি এলডিপির সভাপতি। লোহাগাড়ার চুনতি সন্তান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের ছত্রছায়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হয়েছেন জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল। ঘনঘন দল পাল্টানো বাবুলকে যদিও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করতে পারেননি জয়নাল আবেদীন সাহেব। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সে সময় আমাকে মনোনয়ন দেওয়া। জয়নাল আবেদীনের চাপে পড়ে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলার বেশিরভাগ নেতাকর্মী বাবুলের পক্ষে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়। এ কারণে নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাবুল আওয়ামী লীগের সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু তিনি যে আদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগে কেউ নন তা আসন্ন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আবারো প্রমাণিত হয়েছে। একের পর এক খোলস বদলে তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষতিই করে চলেছেন।’

খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে বাবুল সাহেব এখন নেমেছেন নৌকা ডুবাতে। উনি নির্বাচনী মাঠে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলছেন, নৌকার প্রতীক দেখলে ভয় পায় জনগণ। তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগ করে পেত্নীরা। জামায়াতকে খুশি করে ভোট নিত্ব বাবুল সাহেব বক্তব্য দিচ্ছেন, নৌকা নাকি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে বন্দি করেছে। তাই নৌকাতে ভোট দিবেন না। আমাদের কথা হল, এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিক্রি করে ভোট চাইতে নেমেছে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী বাবুল। এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই।’

আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল নৌকা প্রতীক পেতে করার জোর চেষ্টা করে। এ সময় বাবুল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। বিভিন্ন দলের সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার স্বভাবজাত বাবুল রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর বিরোধীতা করে আবারো প্রমাণ করেছেন।’

দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং লোহাগাড়া যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘বাবুল সাহেব বলে বেড়াচ্ছেন, উপজেলা নির্বাচনে তিনি জলকামান নিয়ে এনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার নিয়ে তিনি আসল কামান এনে তার ভাগিনা শাহাবুদ্দিনকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বানাবেন। তিনি আওয়ামী লীগেত বিরুদ্ধে সরাসরি এখন রাস্তায় নেমে প্রমাণ করেছেন তিনি শেখ হাসিনার জন্য ক্ষতিকর এবং আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতিকর।’

মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান আরও বলনে, ‘উনি উপজেলা নির্বাচনের আগে মোসলেম উদ্দিন আহমেদের কাছে ওয়াদা করেছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগই করবেন। এবং উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারলে তিনি নিজের জমিতে আওয়ামী লীগের জন্য দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবন করে দিবেন। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গালমন্দ করে বেড়াচ্ছেন। ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠান করার জন্য তাকে অনুরোধ করলে তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, আমি আম্বালীগ (আওয়ামী লীগ) করিনা।’

এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী নুরুচ্ছফা চৌধুরী বলেন, ‘কালোবাজারি ছিল বাবুলের ছিল বাবুলের মুল ব্যবসা। ওনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৮টির মত মামলা রয়েছে। সাক্ষীর অভাবে কিংবা ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি বিভিন্ন অপরাধের মামলাগুলাও থেকে রেহাই পেয়েছেন। তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টি করতেন। জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর সমর্থন নিয়ে প্রথম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হন। পরবর্তীতে জামায়াতের এমপি শামসুল ইসলামের সমর্থন নিয়ে আবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হন। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে সর্বশেষ উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন। এখন তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, নৌকার প্রতীকের বিরুদ্ধে তার আপন ভাগিনাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। এই প্রার্থীও এখন জামায়াতের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।’

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু বলেন, ‘জিয়াউল হক বাবুল সাহেব গত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে লিখিতভাবে বলেছিলেন, উনি আর কখনো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যাবেন না। অথচ উনি লোহাগাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, নৌকা এবং সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে বেড়াচ্ছেন। উনি ওনার পল্টিবাজি চরিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা ওনাকে আওয়ামী লীগ থেকে প্রত্যাখ্যান করছি। ওনার ভবিষ্যতে আর দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ১৯৯১ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের অভিভাবক মরহুম জননেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সক্রিয় রাজনীতি করার কারণে কর্ণেল অলির সাথেও আমার সম্পর্ক ছিল। এটি ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্ক। কিন্তু কর্ণেল অলি যখন জামায়াতকে সাথে নিয়ে রাজনীতি শুরু করে তখন আমি কর্ণেল অলি থেকে দূরে সরে আসি। আমি বর্তমান সাংসদ আবু রেজা নদভী সাহেবকে জিতাতে সর্বশক্তি প্রয়োগ জনগণের দুয়ারে দুয়ারে গিয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব জয়নাল আবেদীন বাচ্চু আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছিলেন।’

বাবুল আরও বলেন, ‘গত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমার নাম প্রস্তাব করা হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন ওদের পক্ষে নিয়ে গিয়ে তারা আওয়ামী লীগ থেকে আমার নমিনেশন আটকে দেয়।’

এক প্রশ্মের জবাবে বাবুল বলেন, ‘বর্তমানে আমি এবং ভাগিনা আওয়ামী লীগ করি। লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কেন্দ্রে চারজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একজনকে নমিনেশন দিয়েছে নৌকা প্রতীকে। তার মানে বাকিরা কি নির্বাচন করবে না? স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রত্যেকের স্বাধীনতা আছে। গত উপজেলা নির্বাচনে বর্তমান লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি সালাহ উদ্দিন হিরু আমার পক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করেছে।’

বাবুল বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তা বেশি। ৪০ থেকে ৫০ হাজার ভোট আমার রিজার্ভ আছে। আমি ৩২ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি আছি। আমাকে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানিয়েছে জনগণ এতদিন।
নৌকা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কোনো কটাক্ষ আমি করিনি। আমি বলেছি, গতবার নিরাপত্তার জন্য জলকামান আসছে। এবার প্রয়োজন হলে আসল কামান আসতে পারে ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ছয় জন ইউপি চেয়ারম্যানকে আমার প্রতিপক্ষরা দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র দখলের জন্য। শুনেছি, পদুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন ও চরম্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমিরাবাদের কেন্দ্রগুলোকে দখল করতে। কলা লউজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ এবং পুঁটিবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ইউনুসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লোহাগাড়া ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র দখল করতে। আধুনগরের কেন্দ্রগুলো দখল করতে দায়িত্ব বড়হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমডি জোনায়েদ ও চুনতি জয়নাল আবেদীন জুনু চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জোনায়েদকে অবশ্য তারা এখন বাদ দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাগিনার জন্য কাজ করছি। অন্য দুই ইউনিয়ন আমিরাবাদ ও আধুনগর নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই। নৌকার প্রার্থী নুরুচ্ছফা চৌধুরীর দুই ভাই জামায়াত, দুই ভাই বিএনপি করেন। তাদের কাজ আমাকে গালিগালাজ করা। মানুষ বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেনে নুরুচ্ছফা চৌধুরীকে অযোগ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যার কারণে আমি তাকে সমর্থন দিতে পারছিনা।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!