১১ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে দুর্গাপূজায়

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে মানতে হবে ১১টি স্বাস্থ্যবিধি। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ১১টি স্বাস্থ্য বিধি তৈরি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।

এ বছর ২২ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব শুরু হবে। পঞ্জিকামতে এ বছরের দুর্গাপূজার সূচি অনুযায়ী ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর আগমনধ্বনি অনুরণিত হতে শুরু করবে। ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ২৩ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ২৪ অক্টোবর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা এবং ২৫ অক্টোবর মহানবমী শেষে ২৬ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।

এদিকে সোমবার (১২ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই ১১টি স্বাস্থ্যবিধির কথা জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো—

১. মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক ও নির্দিষ্ট থাকতে হবে।

২. পূজামণ্ডপে আগত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট বা কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমাটি গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে।

৩. পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পূজা মণ্ডপে আগত সকলের মাস্ক পরিধান, মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরিধান ব্যতীত কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

৫. মন্দিরের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. সর্দি, কাঁশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না।

৭. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের অবস্থা করতে হবে।

৮. প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা-ধুনচি নাচ এবং শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. ধর্মীয় উপাচার ব্যতীত অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোকসজ্জা বর্জন করতে হবে।

১০. পূজামণ্ডপে একজন থেকে আরেকজন নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট বা কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিফলিত হয়।

১১. স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!