চট্টগ্রামে নিখোঁজ প্রবাসীর লাশ মিলল পাহাড়ে, স্ত্রীসহ তিনজন আটক

নিখোঁজের দুই সপ্তাহ পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার প্রবাসীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শ্বশুড়বাড়ির পাশে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়া হয় তাকে। এই ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের (৬ নম্বর ওয়ার্ড) পহরচাঁন্দা ছোট ধলিবিলা হাসনা ভিটার পাহাড়ি খুইন্না পাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত প্রবাসীর নাম মনছুর আলী লেদু (২৬)। তিনি পুটিবিলা ইউনিয়নের পহরচাঁন্দার নয়াপাড়া এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে। তার দুই সন্তান রয়েছে। মনছুর দুবাই থাকতেন।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক ও লোহাগাড়া থানার (ওসি) আতিকুর রহমানসহ পুলিশের একটি টিম।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে দেশে আসেন মনছুর আলী লেদু। পরদিন ১ মার্চ সন্ধ্যায় আমিরাবাদে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাবার কথা বলে ঘর থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের পর থেকে তার সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন। ২ মার্চ মনছুর আলীর বোন বুলু আক্তার লোহাগাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

নিহতের বড় ভাই প্রবাসী খোরশেদ জানান, আমার ভাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের লেনদেনের বিষয়ে মনমালিন্য চলছিল। ভাই হত্যার বিচার চান তিনি।

লোহাগাড়া থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, গত ২ মার্চ নিখোঁজ ডায়েরি করেন নিহতের বোন বুলু আক্তার। গত ৮ মার্চ অপহরণ মামলা রুজু করে তদন্তে নামি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তদন্ত করে নিহত মনছুর সর্বশেষ লোকেশন এলাকায় ছিল বলে জানা যায়।

ওসি আতিকুর রহমান জানান, মনছুর আলী লেদু নিখোঁজের পর থেকে অভিযানে নামে পুলিশ। গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হই সর্বশেষ তার অবস্থান এলাকায় ছিল। মঙ্গলবার পুলিশ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!