নানা অপকর্মে জড়িত হচ্ছে রোহিঙ্গারা

নানা অপকর্মে জড়িত হচ্ছে রোহিঙ্গারা 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ : মিয়ানমার রাখাইন সেনাদের অমানবিক বর্বরতা শিকার হয়ে যখন মানবিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছিল হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এই দৃশ্য দেখে উখিয়া-টেকনাফ উপজেলার জনগন তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করতে থাকে। তার পাশাপাশি এই সমস্ত অসহায়, ক্ষুধার্থ রোহিঙ্গাদের মুখে অন্য বস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্য দেশ বিদেশ থেকে ছুটে আসে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। সারা বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে বর্মী সেনাদের প্রতি ঘৃনা,ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সারা বিশ্ববাসী একযোগে দ্ধিক্কার জানাই মিয়ানমার সরকারের প্রতি এবং অসহায় রোহিঙ্গাদের প্রতি এক ধরণের মায়াকান্না পরিলক্ষিত হয়েছিল।

বেশ কয়েকটি দেশ মানবিক কারনে সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কথা কেউ চিন্তা করেনি। অথচ লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল এবং বসতি স্থাপন হয়েছে মানবিক বাংলাদেশ। এদিকে অনুপ্রবেশকারী ও বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা দিনের পর দিন মাদক পাচারসহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছে। তাদের এই সমস্ত অপকর্মের কারণে স্থানীয় জনগনের মধ্যে এখন আর সেই আফসোস নেই। দশ বছর বয়সে স্থানীয় যে শিশু বইখাতা নিয়ে লাইন ধরে পাঠশালায় যাচ্ছে, ওই বয়সের রোহিঙ্গা শিশু (মেয়ে) মাথায় এবং কোমরে ত্রাণের বস্তা ও বালতি নিয়ে ফিরছে আশ্রয় কেন্দ্রে। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা আপসোস করলেও কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য আর মায়াকান্না করছে না। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এদের আশ্রয় দেয়ার পর তাদের বিভিন্ন অপকর্ম ও বেআইনী কর্মকান্ডে অতীষ্ট হয়ে উঠছে স্থানীয় জন-সাধারন।
নব-নির্মিত রোহিঙ্গা বস্তি গুলো ঘুরে দেখা যায়, রোহিঙ্গারা স্বল্পদামে মজুরি কাজে শ্রম দেয়ায় স্থানীয় হতদরিদ্র দিন মজুর শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এক শ্রেণীর এনজিও এবং ঠিকাদাররা রোহিঙ্গা ক্যাম্প তৈরী ও সেখানে বিভিন্ন কাজে স্বল্পদামে দিন মজুর হিসেবে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা যুবকদের। আবার অনেক রোহিঙ্গা সু-কৌশলে বস্তির আশে পাশে রাস্তার দুই পাশে তরিতরকারি, মাছ, সবজি বিক্রি করার দোকান খুলে বসেছে।
এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় দোকানিরা। কারন তাদের বেচাবিক্রি আগের মত নেই।
স্থানীয়রা দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা আগমনের পর গত তিন মাসে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে এ পর্যন্ত খুন হয়েছে স্থানীয় দুই যুবক। আহত হয়েছে পুলিশের একজন এসআই, এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ ১০জন ব্যাক্তি। বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফ এই দুই উপজেলার প্রায় ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে অন্তত ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরন সহ সব ধরণের সমস্যা সামাল দিতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার কারনে রিতিমত যানজটসহ বিভিন্ন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। এত সাহার্য্য,এত উপকার,করার পরও আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মূখে কোন প্রকার কৃতজ্ঞতার বুলি নেই। আবার এই রোহিঙ্গারা বলে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ তাদের শুধু আশ্রয় দিয়েছে। খাবার ও লালন পালন করছে বিদেশীরা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!