তিন দিন পর পাহাড়তলীর বেলালকে পাওয়া গেল পটিয়ার রাস্তায়

‘কিছু না বলার নির্দেশ আছে’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন (২৭ জানুয়ারি) ভোর রাত ৪টায় অপহৃত যুবলীগ নেতা ও বেলাল উদ্দীন জুয়েল ফিরে এসেছেন। পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন এলাকার রানী মার্কেটের সামনে বেলালকে রাস্তায় ফেলে যায় অপহরণকারীরা। সেখান থেকে বাসায় ফেরেন বেলাল।

বেলালের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে কানিজ ফাতেমা জানান, ‘শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোর রাত ৩টায় হঠাৎ বেলালের নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে এবং সে বললো তাকে পটিয়ায় রাস্তায় ফেলে গেছে অপহরণকারীরা। ফোন পেয়ে আমরা সাথে সাথে একটি গাড়ি নিয়ে বেলালকে আনার জন্য পটিয়ার দিকে রওনা দিই।’

সদ্য শেষ হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরুল আলম জসীমের সমর্থক হিসেবে কাজ করছিলেন।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি (শুক্রবার) স্বামীর মুক্তির জন্য চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বেলালের পরিবার। ঘটনাটি বিশদভাবে জানাজানি হলে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বলে মনে করছেন বেলালের স্ত্রী ফাতেমা।

অপহৃত যুবলীগ কর্মী বেলাল উদ্দিন জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এই তিনদিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার সারাজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। গতকাল ওরা আমাকে পটিয়ায় খোলা রাস্তায় ফেলে চলে গেছে।’

কে বা কারা অপহরণ করেছে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলাল বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোন কিছু বলতে পারব না, কোনো কিছু না বলার নির্দেশ আছে। তাছাড়া আমি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ, একটু সুস্থ হয়ে নিই, সুস্থ হয়ে সব ঘটনার বর্ণনা দেবো।’

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য বেলাল উদ্দীন জুয়েলকে ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় সাধারণ পোশাকে পুলিশ সদস্যও ছিল বলে জানিয়েছেন বেলালের পরিবারের সদস্যরা।

র‌্যাবের সদস্যরা বেলালের পরিবারকে র‌্যাব কার্যালয়ে যোগাযোগের জন্য বলে যান। ২৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে দশটায় র‌্যাব কার্যালয়ে গেলে বলা হয় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যেতে। সেখানে যোগাযোগ করলে গোয়েন্দা পুলিশ থেকে থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার সারাদিন বেলালের বড় ভাই ও স্ত্রী চার থেকে ৫ বার থানায় গিয়েছেন নিখোঁজ ডায়েরি করতে। কিন্তু আকবরশাহ থানা পুলিশ কোন সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেনি।

বিএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!