ডেঙ্গু রোগীর জন্য ‘ডেডিকেটেড ফ্লোর’ চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে

চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারী হাসপাতাল পার্কভিউতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড ফ্লোর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবার জন্য থাকছে সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স। দেওয়া হয়েছে ট্রিটমেন্ট প্রটোকল নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণও।

রোগী ভর্তির চার থেকে পাঁচদিনের মাথায় রোগী সুস্থ হয়ে ফিরছেন বাড়ি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে দেওয়া হচ্ছে ফলোআপ ট্রিটমেন্ট। করোনায় রোগীর চিকিৎসা সাফল্যের পর এবার ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবায় বড় ভূমিকা রাখছে পার্কভিউ হাসপাতাল।

বুধবার (২৬ জুলাই) পর্যন্ত পার্কভিউতে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ৩১ জন। বুধবারে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। প্রতিদিন গড়ে ১৩ থেকে ১৪ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী এখানে ভর্তি হচ্ছেন।

জানা গেছে, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য দুটো ডেডিকেটেড ফ্লোর করা হয়েছে। এখানে জেনারেল বেড রয়েছে ২৫টি, কেবিন ৩০টি। জেনারেল বেডে চিকিৎসা খরচ ৩ হাজার টাকা আর কেবিনে প্রতিদিন ৬ হাজার মত খরচ পড়ে। রোগী পাঁচ থেকে ছয়দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে যেতে পারছেন।

পার্কভিউ হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তালুকদার জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর সবচেয়ে বড় চিকিৎসা ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট আর প্রোপার মেডিসিন। আমাদের দু’দিনের ওয়ার্কশপে ডেঙ্গু রোগীর সঠিক ট্রিটমেন্ট প্রটোকল শেখানো হয়েছে। ওয়ার্কশপে ডাক্তার, নার্স, হাসপাতালের কর্মকরতারাও উপস্থিত ছিলেন। ডিউটি ডাক্তার, কনসালট্যান্ট, নার্সদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে চলছে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা।’

তালুকদার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এই পরযন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী যে চারজন মারা গেছেন, তাদের প্লাজমা লিকেজ ছিল। দেরীতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অনেক ডেঙ্গু রোগী জ্বর তিন থেকে চারদিন থাকার পরও টেস্ট করেননি। পরে যখন করতে যায়, তখন তার প্লাটিলেট কমতে শুরু করে। এই পর্যায়ে রোগীর জীবন সংশয় দেখা দেয়।’

পার্কভিউ হাসপাতালের ডিজিএম (এইচআরডি) হুমায়ুন কবির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কোভিড ট্রিটমেন্ট প্রটোকল আমরা সাজিয়েছিলাম বলেই আমরা চিকিৎসায় রোগীর আস্থাভাজন হতে পেরেছিলাম। একই রকমভাবে ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা প্রোপারলি ট্রিটমেন্ট অ্যাপ্লাই করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি, সফলও হচ্ছি।’

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!