ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পিআরও!

নামে পিআরও, বাস্তবে উচ্চমান সহকারী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে পরিচালিত গণশুনানিতে এই অভিযোগ উঠে আসে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বীর উত্তম শাহ্ আলম মিলনায়তনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

এর আগে গত ৯-১৩ অক্টোবর নগরীর নয়টি স্পটে টিম বসিয়ে চসিকের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণ করে দুদক।

এতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কর্তৃক একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৌশলে দরপত্র বিজ্ঞাপনে প্রভাব খাটিয়ে নির্ধারিত ঠিকাদারকে কাজ প্রদান করার অভিযোগ করেন।

জানা যায়, জোড়াতালি দিয়ে চলছে চসিকের জনসংযোগ শাখা। এই শাখার জনসংযোগ কর্মকর্তার পদটি উচ্চমান সহকারী রফিকুল ইসলামকে দিয়ে চলছে। এর আগে রফিকুল ইসলাম শিক্ষা বিভাগে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালের ১১ জুন পদোন্নতি দিয়ে তাকে শিক্ষা বিভাগের উচ্চমান সহকারী থেকে জনসংযোগ শাখার প্রটোকল সহকারী করা হয়। ১২ জুন তড়িঘড়ি করে রফিকুল ইসলামকে প্রটোকল সহকারী থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তার পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। উচ্চমান সহকারী পদটি হচ্ছে ১৪তম গ্রেডের। অন্যদিকে জনসংযোগ কর্মকর্তার পদটি নবম গ্রেডের।

এদিকে জনসংযোগ কর্মকর্তার পদটি একজন উচ্চমান সহকারীকে দিয়ে চালানোর কারণে চসিকের কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চসিকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘উচ্চমান সহকারী দিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তার কাজ চালানো হচ্ছে। এটি ছাগল দিয়ে হালচাষ করার মতো। রফিকুল ইসলাম কখনো অফিসার ছিলেন না।’

উচ্চমান সহকারীকে জনসংযোগ কর্মকর্তার পদে পদোন্নতি ব্যাপারে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই তাকে জনসংযোগ কর্মকর্তা বলা যাবে না।’

ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো ই-টেন্ডার হয়। আমার কাছে আসে না। কারসাজির কী আছে!’

এমএ/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!