কক্সবাজারের টেকনাফে আটকের পর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বার (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে মহেষখালিয়াপাড়া নৌকার ঘাট এলাকায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি সদর ইউনিয়নের মহেষখালিয়াপাড়া গ্রামের আবুল হাসিম প্রকাশ হাশেমের ছেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, ‘সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মাদক উদ্ধার অভিযানে কর্তব্যরত পুলিশ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বারকে মহেষখালীয়াপাড়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে জানায়, টেকনাফ সদর ইউপির মহেষখালীয়াপাড়া নৌকা ঘাট এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র মজুদ রাখা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যমতে ২ জুলাই রাত ১টার দিকে পুলিশ ওই স্থানে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগী অস্ত্রধারী ও ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই স্বপন চন্দ্র দাশ, এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল রয়েল বডুয়া আহত হয়। পুলিশও পাল্টা ৫০ রাউন্ড গুলি করে। এর একপর্যায়ে আটককৃত মো. হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বার গুলিবিদ্ধ হয়।’
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি করে চারটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৭ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ, ২১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে পুলিশ।
পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ মো. হামিদকে ঘটনার পর টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর রাত ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের কয়েকটি থানায় ১২টি মামলা রয়েছে মো. হামিদের বিরুদ্ধে।