দেশের অন্যতম ইস্পাত নির্মাতা শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেএসআরএম করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবায় অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার আটটি বাইপেপ মেশিন হস্তান্তর করেছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) করোনা চিকিৎসায় বিশেষায়িত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এসব বাইপেপ মেশিন হস্তান্তর করা হয়। কেএসআরএমের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বীর কাছে সেসব হস্তান্তর করেন।
বাইপেপ হচ্ছে প্রাকৃতিক অক্সিজেনকে কাজে লাগিয়ে রোগীকে সাপোর্ট দেওয়ার মেশিন। এই মেশিনে রোগীকে মিনিটে ১৫ থেকে ২০ লিটার প্রেসারে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। তাই প্ল্যান্টের অক্সিজেনের ওপর প্রেসার কমার পাশাপাশি বেশিসংখ্যক রোগীকে সেবা দেওয়া যায়। শুধু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বাইপেপ মেশিনে একজন রোগীকে প্রকৃতি থেকে প্রতি মিনিটে ১৫-২০ লিটার অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব, কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজান উল হক।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেহেরুল করিম বলেন, করোনার প্রভাব বর্তমানে অনেকটা স্থিতিশীল। যদিও বিশেষজ্ঞদের ধারণা অচিরেই শুরু হবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তাই প্রাণহানি কমাতে প্রয়োজন ব্যাপক প্রস্তুতি। সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কেএসআরএম ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে করোনা আক্রান্ত রোগিদের জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এসব বাইপেপ মেশিন প্রদান করছে। দেশে ও দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এ উদ্যোগ। এ ধরনের কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আর্তমানবতায় সবায় কেএসআরএম সবসময় ছিল, আছে, আগামীতেও থাকবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম সংকটকালীন সময়ে বারবার এগিয়ে এসেছে। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তাদের যে দায়বদ্ধতা তা অনুস্মরণীয়। সাম্প্রতিক সময় কেএসআরএম জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে বিনামূল্যে। এতে অক্সিজেন সংকটে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছে অনেক প্রাণ। কেএসআরএমের বাইপেপ মেশিনও করোনা রোগীদের চিকিৎসা সংকট দূর করতে সহায়তা করবে। আমাদের বিশ্বাস যেকোনো সংকটে কেএসআরএমের এগিয়ে আসার মনোভাব অব্যাহত থাকবে।