জিতেন গুহকে গাছে বেঁধে নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় পটিয়া আওয়ামী লীগ

চট্টগ্রামের পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পটিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের নিবেদিত নেতা জিতেন কান্তি গুহের উপর পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীরা দলের ভেতরের কেউ হয়ে থাকলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। পাশাপাশি অপরাধী সবাই গ্রেপ্তার না হলে উপজেলা আওয়ামী লীগ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করবে।

তবে সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ও লিখিত বক্তব্যে হামলার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম জসিমের নাম লিখা ছিল না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ বলেন, ‘আমাদের ভুলের কারণে সরকারের বড় অর্জনগুলো ম্লান হতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই বলছেন এটি সাম্প্রদায়িক ঘটনা কি-না। আমি বলব এটি কোনো সাম্প্রদায়িক ঘটনা নয়। জিতেন কান্তি গুহ আওয়ামী লীগের লোক। গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাসনাত মো. ফয়সালের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই দল থেকে বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান বিএম জসিম তার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালিয়েছে।

প্রদীপ দাশ আরও বলেন, জিতেন কান্তি গুহ যদি কোনো সাংগঠনিক কার্যকলাপের বাইরে কাজ করে তাহলে তারও বিচার করবে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু পূর্বপরিকল্পিত ভাবে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা যারা করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। পটিয়ায় অনেক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে পটিয়ার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনে দলীয়শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে যারা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাদের রাজনৈতিক সভা সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত আছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। তবে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে তারা যদি পেছনে এসে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে, তাদের ফেইসবুকে প্রচার করে সে দায়ভার উপজেলা আওয়ামী লীগ নিবে না।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক তিমির বরণ চৌধুরী, সদস্য বিজন চক্রবর্তী, দেবব্রত দাশ দেবু, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, আবদুল খালেক চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি রতন চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর খালেদ, চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ছৈয়দ, ইঞ্জিনিয়ার ছৈয়দ মোরশেদ, হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাহফুজুল হক হাফেজ, যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল ইসলাম জুলু, আবুল হাসনাত মো. ফয়সাল, ইউপি সদস্য টিটু দেব, ইউনুস খান জসিম প্রমুখ।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!