জিংকযুক্ত ব্রি ধান আশার আলো দেখাচ্ছে আনোয়ারায়

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় জিংকসমৃদ্ধ আমন ধানের নতুন জাত ব্রি ধান-৮২–এর পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য এসেছে। উপজেলার কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ১৫ জন কৃষকের ৫ একর জমিতে এই ধানের আবাদ হয়েছে।

জানা গেছে, নতুন জাতের ধানের ফলন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষক পর্যায়ে বীজ তৈরির লক্ষে ৫ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষাবাদ চলছে আনোয়ারায়। এতে আগের চেয়ে ফলন বাড়বে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা এলাকায় প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ শুরু হয়েছে। এজন্য ১৫ জন চাষীকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। ওই চাষীরা ৫ একর জমিতে আউশ ও আমন ধানের চাষ করছেন। প্রথমবারের মতো লাগানো ব্রি ধান-৮২ কাটা শুরু হয়েছে। অন্যান্য ধানের চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেশি ফলন হয়েছে। এখন আমন হিসেবে লাগানো হচ্ছে ব্রি ধান-৭২। চাষীরা এই ধান চাষের পাশাপাশি বীজ উৎপাদন করে চাষী পর্যায়ে বিক্রি করবেন।

শোলকাটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাষীরা আমন ধান মাড়াইয়ের পাশাপাশি আউশ ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন। তা তদারকি করছেন কৃষি বিভাগের লোকজন।

কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি সাত গন্ডা (১৪ শতক) জমিতে আমন চাষ শেষে আউশ ধান রোপণ করছি। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

চাষী মোহাম্মদ সৈয়দ বলেন, আমি এক কানি (৪০ শতক) জমিতে আমন চাষ করেছি। এখন ধান মাড়াই চলছে। মাড়াই শেষে পুনরায় উচ্চ ফলনশীল আউশ লাগাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দুটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে আনোয়ারার পাঁচ একর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করা হচ্ছে। নতুন এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ফলন বাড়বে এবং চাষীরা বীজ তৈরি করে বাজারজাত করতে সক্ষম হবেন।

এদিকে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাঠ পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মনজরুল হুদা, অতিরিক্ত উপপরিচালক জহির উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান চৌধুরী ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সাইফুন্নাহার শান্তি। এ সময় তারা চাষীদের সাথে কথা বলেন এবং চারা রোপন ও ধান মাড়াই দেখেন।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!