জাল সনদে পদোন্নতি, ধরা পড়েও চসিকের চার সেবক বহালতবিয়তে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতা শাখার ডোর-টু-ডোর পরিচ্ছন্নতা কাজের তদারকি বাড়াতে সুপারভাইজার পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয় সেখানকার চার সেবককে। এ দায়িত্ব পালনের শর্ত ছিল, সুপারভাইজার পদে পদোন্নতি পেতে তাদের এইচএসসির সনদ থাকতে হবে।

এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর তারা এসএসসির সনদ জমা দেন। কিন্তু যাচাইবাছাইয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, জমা দেওয়া সনদগুলো জাল। শাস্তিস্বরূপ তাদের পদোন্নতি না দিয়ে করা হয় পদাবনতি।

এদিকে পদোন্নতি পেতে এমন অভিনব জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ায় চার জনের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সে সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি।

জাল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া চার সেবক হলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের নুরুচ্ছফার পুত্র মো. জামাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলামের পুত্র মো. রাশেদুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিমের পুত্র মো. হেলাল উদ্দিন এবং মো. আব্দুল জলিলের পুত্র মো. ইব্রাহিম।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ জুন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেবক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন মো. হেলাল উদ্দিন। ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর সেবক হিসেবে যোগদান করেন মো. জামাল উদ্দিন, মো. রাশেদুল ইসলাম ও মো. ইব্রাহিম।

এই চার সেবককে সুপারভাইজার পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রত্যাহার করাসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচিবালয় শাখাকে অনুরোধ করেন সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা যায় বলেও অফিস আদেশে সুপারিশ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি চসিকের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে।

এ বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সনদ দিতে ব্যর্থ হওয়ার তাদের পদাবনতি করে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন আগের পদে বহাল থাকবেন।’

কর্তৃপক্ষকে জাল সনদ দিয়ে প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!