ছেলে-বউ মিলে বেধড়ক পিটিয়ে ছিনিয়ে নিলো টাকা, আদালতে গেলেন বৃদ্ধা

সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মামলার আসামি হয়েছে ছেলে ও তার স্ত্রী। আদালতে এই বিষয়ে অভিযোগ করলে বিচারক চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন নগরীর কোতোয়ালী থানার ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের জে কে আই মাদ্রাসা রোড নুরুল হক কমিশনারের বাড়ির মৃত আব্দুল সোবহানের ছেলে মো. আব্দুল শুক্কুর (৪৫) ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুন তানিয়া (৩৭)।

আব্দুল শুক্কুরের মা নূরজাহান বেগম (৭১) বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ মে নূরজাহান বেগমের স্বামী আব্দুল সোবহান মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে আব্দুল শুক্কুর ভরণপোষণ দেন না। সেসময় নিজের বাবার দাফন-কাফনের খরচও দেননি ছেলে আব্দুল শুক্কুর। তবে এর আগে থেকে নূরজাহানকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছেন ছেলে ও ছেলের স্ত্রী।

এই বিষয়ে ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে নূরজাহান জানান, চলতি বছরের ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে গালিগালাজসহ মারধর শুরু করেন। এই সময় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এতে নূরজাহানের ডান কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক মারধরে আঘাত ও জখম হয়। মারধরের পর নূরজাহানের আলমারিতে থাকা বয়স্ক ভাতা ও জাকাত ফিতরার ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় শুক্কুর।

পরে আশপাশের লোকজন এসে নূরজাহানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নূরজাহানের আইনজীবী মো. মাসুদ আলী বলেন, বৃদ্ধা জন্মদাত্রী মাকে মেরে হাড় ভেঙে দেওয়ায় আদালতে মামলার এজহার দায়ের করলে আদালত শুনানি শেষে কোতোয়ালী থানার ওসিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেন।

আরএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!