জেলা পরিষদ ভবনের রেস্টুরেন্ট থেকে দেখা যাবে চট্টগ্রাম শহর, থাকছে হেলিপ্যাডও

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকালে তিনি ১৮ তলা উঁচু এই ভবন পায়ে হেঁটে ওঠেন এবং প্রতি ফ্লোর ঘুরে দেখেন। এই সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল, প্রধান প্রকৌশলী মুমিন ইসলাম, ঠিকাদারসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এই সময় পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধন হবে জেলা পরিষদের নিজস্ব এই ভবন। কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বহুতল এই ভবনে একটি মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে। চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য ঘেরা মিউজিয়ামে চট্টগ্রামকে এক ফ্লোরে দেখবে দর্শানার্থীরা। এছাড়াও ভবনে ওপরে রেস্টুরেন্ট থেকে দেখা যাবে পুরো চট্টগ্রাম। একইসঙ্গে ছাদে করা হচ্ছে হেলিপ্যাড।’

জানা গেছে, ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি বেইসমেন্টসহ ১৮তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের জুন মাসে। বর্তমানে এই প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর এই ভবন পুরোদমে ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ৩৩ শতক জায়গায় ভবনটি তৈরি হচ্ছে। নিচের দুটি বেইসমেন্টে মোট ৯২টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা থাকবে। ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলা জেলা পরিষদের নিজস্ব কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অবশিষ্ট ১৪ তলা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বহুজাতিক কোম্পানির অফিস, ব্যাংক, বীমাসহ অন্যান্য অফিসের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। তবে কোনো ধরনের দোকানের জন্য এসব ভবন ভাড়া দেওয়া হবে না। ভবনের নিচের প্রথম থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত প্রতি ফ্লোরে আয়তন হচ্ছে ১৪ হাজার বর্গফুট। চতুর্থ তলা থেকে ১৮ তলা পর্যন্ত প্রতি ফ্লোরের আয়তন ১০ হাজার বর্গফুট করে। তৃতীয় তলায় তিনটি ছোট—বড় হল রুম থাকবে। এসব হল রুমে ওঠা-নামার জন্য লিফট ছাড়াও একটি সিঁড়ি থাকবে। নতুন নির্মিতব্য জেলা পরিষদ ভবনে চারটি অত্যাধুনিক লিফট ও ২টি সিঁড়ি থাকবে।

প্রতিটি ফ্লোরে ওয়াশ ব্লক থাকবে। ভবনে নামাজের জন্য মসজিদ এবং ওপরের তলায় একটি রেস্টুরেন্ট থাকবে। সবগুলো ফ্লোরের ছাদ ঢালাইয়ের পর বাণিজ্যিক সব ভবন টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, ‘খুব দ্রুতগতিতে নির্মাণকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানির অফিস, ব্যাংক, বীমাসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক অফিসের জন্য ভাড়া দেওয়া হচ্ছে । তবে দোকানের জন্য কোনো ধরনের বরাদ্দ দেওয়া হবে না।’

প্রধান প্রকৌশলী মুমিন ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেশ কিছু ফ্লোর ভাড়া হয়েছে। বাণিজ্যিক এই ভবনটি সব ধরনের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই করা হচ্ছে। আধুনিক নির্মাণ কাঠামোতে তৈরি হচ্ছে জেলা পরিষদ ভবন।’

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!