চীনের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল হতে পারে বাংলাদেশে

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস নির্মূলে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশের বহু সংস্থার গবেষকরা। চীনে পাঁচটি কোম্পানি করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। কয়েকটি ভ্যাকসিনের ট্রায়ালও প্রায় শেষ দিকে। এর মধ্যে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনটি উল্লেখযোগ্য। চীনে আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সেই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল বাংলাদেশে হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।

শুক্রবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের আয়োজনে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই ট্রায়েলের সূত্র ধরে বাংলাদেশেও এর উৎপাদন শুরু হতে পারে। এটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য করোনা মোকাবিলায় আরেক ধাপ সাফল্য বয়ে আনবে।’

করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে দেশে আক্রান্ত একজন থেকে আরও দু’জনের বেশি হারে এই ভাইরাস ছড়াতে পারত। কিন্তু এখন সেই রিপ্রডাকশন রেট বা আর-রেট নেমে এসেছে ১.০৫-এ। এটা খুবই ভালো লক্ষণ। এখন নিচে নামাতে পারলে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে। তাছাড়া এখনও প্রতিদিন সংক্রমণের যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে তা অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে।’