চান্দগাঁওয়ে ডিস ব্যবসায়ী খুনের প্রধান অভিযুক্ত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

নগরীর চান্দগাঁওয়ের দর্জি পাড়ায় খুনের মামলায় রাসেল নামের এক অভিযুক্ত পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

নগরীর চান্দগাঁও থানার দর্জিপাড়ার জেলে পাড়া বালুর মাঠে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত দুইটার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনে রাসেলকে ঢাকার বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যরাতে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে রাসেলের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় রাসেলসহ ৬ পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের প্রত্যেককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আর পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৫ রাউন্ড গুলি, দুটি কিরিচ ও একটি টিপ ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।

এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয় বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চান্দগাঁও থানার দর্জি পাড়া এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জাহেদ হোসেনের ছোট ভাই জিহাদকে ছুরিকাঘাতে খুন করে রাসেল।

ঘটনার পর রাসেল আর তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশ রাসেলের এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের রাউজান থেকে।

নিহত জিহাদের বড় ভাই জাহেদ হোসেন বলেন, রাসেল চাঁদার জন্য আমাকে বারবার হুমকি দেতো। রোববার সন্ধ্যায় সে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দোকানে চাঁদার জন্য এসে আমাকে কল দেয়। তখন আমি মসজিদে ছিলাম। পরে আমি আসলে তারা আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাই জিহাদ বাধা দিলে তারা জিহাদকে ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাহেদ হোসেনের ব্যবসায়ীক পার্টনার ডিস ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র দাশ বলেন, সন্ত্রাসীরা অনেকদিন ধরে মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে তারা ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেয়। রোববার সন্ধ্যায় এ নিয়ে জিহাদ খুন হয়।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!