চলে গেলেন বায়তুশ শরফের পীর কুতুব উদ্দীন

চট্টগ্রাম বায়তুশ শরফ দরবার শরীফের পীর মাওলানা কুতুব উদ্দীন আর নেই। তিনি বুধবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টায় ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত তাঁর নিকট আত্মীয় প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বুধবার বিকেল ৪টার পর থেকে হুজুরের হার্টবিট পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকরা। বিকেল সাড়ে ৫ টায় আমরা হুজুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই।’

মাওলানা কুতুব উদ্দীন দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। সোমবার (১৮ মে) তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরদিন মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী হওয়ার কারণে তিনি ধর্মীয় মহলে বাহরুল উলুম (জ্ঞানের সাগর) নামেও পরিচিত।

মাওলানা কুতুব উদ্দীন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর ইউনিয়নের সূফী মিয়াজী পাড়া গ্রামের সন্তান। লেখাপড়া করেছেন চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও চট্টগ্রাম শহরের দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসায়। তিনি ১৯৫৯ সালে স্বর্ণপদক সহ প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কামিল পাস করেন।

হাদিস বিশারদ ও কুরআনের তাফসিরকারক মাওলানা কুতুব উদ্দীন আরবি, ফার্সি ও উর্দু ভাষাবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান। কর্মজীবনে তিনি বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের সেরা অধ্যক্ষের পুরস্কারও অর্জন করেন।

তিনি চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার ধনিয়ালা পাড়ায় অবস্থিত বায়তুশ শরফের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত সূফীসাধক মাওলানা মীর মুহাম্মদ আখতার (রহ) এবং বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার শাহ সূফী মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রহ) এর সান্নিধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন হন। ১৯৯৮ সাল থেকে আমৃত্যু তিনি বায়তুশ শরফের পীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর লিখা একাধিক বিখ্যাত ধর্মীয় গ্রন্থও রয়েছে।

এফএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!