চবি শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে পেটালো গ্রামবাসী, প্রতিবাদে মূল ফটকে তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের আবারও ধরে ধরে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জোবরা গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। এতে অন্তত চারজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপ।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বিকালে সিএফসি গ্রুপের কর্মী আরাফাত হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে ১ নম্বর রেলক্রসিং যায়। এ সময় এক সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে আরাফাতের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ওই চালককে সাবধানে সিএনজি চালাতে বললে চালককের সঙ্গে আরাফাতের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সিএনজিচালক আরাফাতকে মারধর করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জিরো পয়েন্ট ফটকে তালা দেয় সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। একই সঙ্গে রেলক্রসিং থেকে একটি সিএনজি জব্দ করে নিয়ে আসে।

বিষয়টি জানতে পেরে ক্যাম্পাসের সিএনজিচালক ও স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং ও ১নং গেটে অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে মারধর করে।

স্থানীয়দের মারধরের শিকার বাংলা বিভাগ ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তানভির আহমেদ শরীফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিনা জিজ্ঞেস করার পর, রেল ক্রসিং এলাকায় আমাকে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিনা কারণে মারধর করে।

শহর থেকে টিউশন করে ফিরছিলেন প্রাণিবিদ্যা ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিব্য ভট্টাচার্য। তাকেও মারধর করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। মারধরে তার চশমা ভেঙে গেছে এবং গালে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ফেসবুক গ্রুপে নিশাত তাবাসসুম কয়েকটি মারধরের ছবি দিয়ে লেখেন, ইফতারের ঠিক কিছুক্ষণ আগে আমার বন্ধু এক নম্বর থেকে আসার সময় সিএনজি চালকরা আগের দিনের ঝামেলার জের ধরে পিটিয়েছেন। কোনো মতে মাথা-কপাল বাঁচিয়ে আসা গেছে। সিএনজিচালকরা এক নম্বর এ আজকে যাকে পেয়েছেন তাকেই পিটিয়েছে বেধড়কভাবে। অন্য একজনের মাথা ফেটে রক্তারক্তি অবস্থা। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টদেরকে আসলে কী ভাবা হয়? লোকাল মানুষ যা পারবে করবে, প্রশাসন কিছু বলবে না৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এমআইটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!