চবিতে ছাত্রলীগের মারামারি, ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনায় স্যার এ এফ রহমান হলে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। সংঘর্ষের একসপ্তাহ পর এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

বুধবার (১১ মার্চ) হলের প্রভোস্ট ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী এ কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রভোস্ট বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন (আহ্বায়ক), আবাসিক শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত শর্মা, সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন ও প্রভাষক কাজী রবিউল ইসলাম (সদস্যসচিব)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রভোস্ট খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘হল ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রভোস্ট বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ আলাওল হলের একটি রুম দখলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয় কনকর্ড ও বিজয় গ্রুপের দুই কর্মীর মধ্যে। এ ঘটনার জেরে পরদিন মঙ্গলবার দুই গ্রুপের মধ্যে তুমূল সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনার রেশে সংঘর্ষ গড়ায় তৃতীয় দিনেও। বুধবার ২ (মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিজয় গ্রুপ ও কনকর্ড গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিজয় গ্রুপ সোহারওয়ার্দী হল থেকে এবং কনকর্ড গ্রুপ শাহাজালাল হলের সামনে থেকে বৃষ্টির মতো ইট ও ভাঙ্গা কাঁচ ছোড়ে।

এ ঘটনার রেশ ধরে রাত দেড়টার দিকে স্যার এ এফ রহমান হলে বিজয় গ্রুপের ওপর আক্রমণ করে নাছিরের অনুসারী সব গ্রুপ। এ সময় তারা হলে ব্যাপক করে তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করে ৮০টিরও বেশি কক্ষ। ওয়াশরুমের ভেসিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র, মোটরসাইকেলও ভেঙে ফেলে। যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২ লাখ টাকা। অন্যদিকে রুম ভেঙে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট ও ৪টি মোটরবাইক ভাঙচুর করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!