চট্টগ্রামে নজর বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার, আগ্রহ বিনিয়োগে

মতবিনিময়ে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহায়েল

‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রাম বন্দর বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর। আগামীতে আরও এগিয়ে যাবে এই বন্দর। বিদেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার নজর এখন চট্টগ্রামের দিকেই। এই বন্দর বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। বিভিন্ন দেশ ব্যাপক বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর।’

চট্টগ্রামে নজর বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার, আগ্রহ বিনিয়োগে 1

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে। দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য চাহিদা, আঞ্চলিক যোগাযোগের ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্ব এবং বন্দরকেন্দ্রিক উন্নয়ন চিন্তা চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। সরকারও চট্টগ্রাম বন্দরের ধারাবাহিক উন্নয়নে তৎপর।’

তিনি বলেন, ‘১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানো, ইউরোপের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বহির্নোঙরের আওতা বৃদ্ধি, ভিটিএমআইএস, ডিজিটালাইজেশন, কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অত্যাধুনিক কি সাইড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের মতো উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে গত একযুগে। লক্ষ্য এখন আঞ্চলিক পণ্য পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়া।’

বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কোভিড অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে মন্থর করলেও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি বরং কার্গো হ্যান্ডলিং এবং আয় বেড়েছে। জুন মাসে এই বন্দর দিয়ে ৫০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে, যার ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক।’

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ‘বন্দরের কাজ সেবা দেওয়া। চট্টগ্রাম বন্দরে দিন নেই, রাত নেই। ২৪ ঘণ্টায় সাতদিনই সচল থাকে। আমাদের বন্দর সারা বিশ্বে সমাদৃত। আগামী তিন বছরে ৫-৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে আশাকরি। একই সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি আসবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিসেম্বরে বন্দরের নতুন কেমিক্যাল শেড চালু করা সম্ভব হবে। পিসিটি পরীক্ষামূলক চলছে। বে টার্মিনাল ও ব্রেক ওয়াটারের ডিজাইনের কাজ চলছে। প্রশস্ত চ্যানেলে ১২-১৩ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ২৪ ঘণ্টা অপারেশন করা সম্ভব হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ১০-১২ হাজার কন্টেইনার নিয়ে জাহাজ ভিড়তে পারবে। বড় জাহাজে পণ্য আনা হলে ভোক্তা পর্যায়ে সুবিধা পাবে।’

মতবিনিময় সভায় বন্দরের সদস্য মো. শহীদুল আলম, পরিচালক মো. মমিনুর রশিদ, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!