চট্টগ্রামে ছোট পরিসরে হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করবে আওয়ামী লীগ। এদিনে চট্টগ্রাম নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণও প্রচার করবে মহানগর আওয়ামী লীগ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এই দিন ও বছরটি পালনের পরিকল্পনা ছিল সরকার ও আওয়ামী লীগের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস আতংকের কারণে এই দিনটির কর্মসূচি পুনর্বিন্যস্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর কর্মসূচির বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আমরা কর্মসূচিগুলো পালন করবো।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, খতম মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন ছাড়াও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ চালানো হবে এদিন। এছাড়া এতিম ও দুস্থদের মধ্যে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৮টায় দোস্ত বিল্ডিং এলাকার দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। একই সাথে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলও আয়োজিত হবে সেখানে। এরপর রাত ৮ টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে আতশবাজি উৎসব ও দলীয় কার্যালয়ের আলোকসজ্জা করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা।

একই ধরনের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালনের কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

এদিকে জনসমাগম এড়ানোর জন্য মুজিববর্ষের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় প্রতিদিনই নিয়মিত জনসমাগমে অংশ নিতে হচ্ছে এখানকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের। যেহেতু নির্বাচনের জন্য জনসমাগম করতেই হচ্ছে সেহেতু বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জনসমাগম এড়ানোর চেষ্টা কতটা কার্যকর এখানকার ইউনিটগুলোর জন্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পুরো জাতির আবেগ অনুভূতির জায়গা। বর্তমানে সারা বিশ্বেই করোনা নিয়ে একটা আতংক আছে। এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি খুব জরুরি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালনের জন্য করোনা ইস্যুতে সচেতনতার ক্ষেত্রে জনগণের প্রতি ভুল বার্তা গেলে সেটি বঙ্গবন্ধুর যে রাজনৈতিক চরিত্র তার প্রতি অসম্মান হতো। এই কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান পূনর্বিন্যাস করেছি।’

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!