চট্টগ্রামে খুন করে ময়মনসিংহে আত্মগোপন, ধরে আনল পুলিশ

আইয়ুব আলীর ও মো. সাহেদ আলম ওরফে সাহেদ মিয়া পরস্পর আত্মীয়। অনেকদিন ধরে তাদের মধ্যে চলছিল সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব। তাদের এ ঘটনা গড়ায় হাতাহাতি ও মারামারিতে। এভাবে এক পর্যায়ে আইয়ুব আলীকে ছুরি মেরে খুন করেন সাহেদ। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ময়মনসিংহ থেকে তাকে ধরে এনেছে পুলিশ।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকা থেকে মো. সাহেদ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো. সাহেদ আলম ওরফে সাহেদ মিয়া নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরারডিপো কামরাবাদ এলাকার নজির ড্রাইভার বাড়ির মো. আনোয়ারের ছেলে।

জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আইয়ুব ও সাহেদ মিয়ার মধ্যে কয়েকবার ঝগড়া হয়। সর্বশেষে রাত ৮টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কামরাবাদ আতুরারডিপোর নজির ড্রাইভারের বাড়ির মো. আইয়ুব আলীর টিনশেড দোকানের ভেতর ঢুকে আইয়ুব আলীকে কিল, ঘুষি মারেন সাহেদসহ দুর্বৃত্তরা। সাহেদ চুরি দিয়ে আইয়ুব আলীর পেটে ও বুকের বাম পাশে কুপিয়ে তাকে খুন করে। এরপর মরদেহ দোকানের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ করে বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান সাহেদ।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ঢাকা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন ছিলেন। পরে আমরা তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করি।’

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!