চট্টগ্রামে একদিনে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা

বেগুন পটল ও কাঁচা মরিচের দামও বাড়তি

চট্টগ্রামে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে মুরগির দাম। নগরীর বাজারগুলোতে জাতভেদে একদিনের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। অন্যদিকে, সবজির বাজারেও স্বস্তি নেই। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, পটল ও কাঁচা মরিচ।
শুক্রবার (২৪) চকবাজার ও কাজির দেউড়ি কাঁচাবাজারে গিয়ে দ্রব্যমূল্যের এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে দেশি মুরগীর সরবরাহ একেবারেই নেই বললেই চলে। সরবরাহ না থাকার কারণে দেশি মুরগীর দাম বেড়েছে গেছে। বাজারে দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৫০ টাকা; যা গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ৪৫০ টাকা। ফার্মের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা। পাকিস্তানী সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা; যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ টাকা। লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২২৫ টাকা; যা গত সপ্তাহে ছিল ২১৫ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, ‘চালান কম আসছে বলে দাম বেড়েছে।’

নগরীর চকবাজার ও এর আশে-পাশে রাস্তা সংলগ্ন দোকানগুলোতে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ টাকা, সোনালী ২৬০ টাকা, লাল লেয়ার ২২৫ টাকা।
কাজির দেউড়ি বাজারে ব্রয়লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৫০ টাকা; যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫ টাকা। এছাড়া সোনালী মুরগী বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি কেজি ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ইকবাল নামের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা ব্রয়লার মুরগি পাইকারিতে কিনেছি কেজি ১৪০ টাকা করে। দশ টাকা লাভ করছি।’

আখতারুজামান নামের আরেক মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘বগুড়া, আনোয়ারা, পটিয়া, মিরসরাই থেকে চট্টগ্রাম শহরে মুরগি আসে। এখন মুরগি কম আসছে। কিন্তু চাহিদা বেশি। সামনে মুরগির দাম আরও বাড়বে।’

এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়ে গেছে বেগুন, পটল ও কাঁচা মরিচের দাম। বাজার ভেদে চকোরিয়ায় উৎপাদিত কেজি প্রতি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা। এক পোয়া কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা। দেশি ছোট বেগুন হচ্ছে কেজি ৫০ টাকা; যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। দশ টাকা বেড়ে পটল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা।
কাজীর দেউড়ি বাজারে বড় বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা, সীতাকুÐে উৎপাদিত শিম; বিক্রি হচ্ছে কেজি ১২০ টাকা।

হঠাৎ করে মুরগীর দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শুক্র ও শনিবারে মুরগীর মাংসের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তবে সরবরাহ কম থাকে এমন নয়। আমরা চেষ্টা করছি, দাম স্বাভাবিক রাখার জন্য। কেনায় বেশি পড়ছে বলে হয়তো মুরগীর বেড়েছে।’

এমএ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!