চট্টগ্রামের ১৫০ ছিন্নমূল মানুষ পেলো উষ্ণতার পরশ

‘একটা ব্যাপার ভালো লাগালো যে, ছেলেগুলো তাদেরকেই কম্বল দিয়েছে, যারা ঘুমন্ত ছিলো। এটা যেন আত্মিক শান্তি। হুমায়ুন আহমেদ তার ‘হিমু রূপালী রাত্রি’ উপন্যাসে লিখেছিলেন, শীতের রাতে আমরা শহর ঘুরব—যেখানেই দেখবো খালি গায়ে লোকজন শুয়ে আছে—ওমনি দূর থেকে তাদের গায়ে একটা কম্বল ছুঁড়ে দিয়েই লাফ দিয়ে মাইক্রোবাসে উঠে পালিয়ে যাবো। যাকে কম্বল দেওয়া হয়েছে সে যেন ধন্যবাদ দেওয়ার সুযোগও না পাই।’

চট্টগ্রামের ১৫০ ছিন্নমূল মানুষ পেলো উষ্ণতার পরশ 1

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের ‘নিঃস্বার্থ নবজীবন সংগঠন’র পৃষ্ঠপোষক শ্যামল বৈদ্য।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় নগরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় থাকা ১৫০ জন মানুষের মধ্যে এই কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়। সংগঠনের সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে জামালখান, সিআরবি, কাজির দেউড়ি, গোলপাহাড়, চকবাজার, আন্দরকিল্লার ঘুমন্ত শীতার্ত বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে এসব কম্বল দেওয়া হয়।

এছাড়া একইসঙ্গে কক্সবাজারের ৫০ ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সহ-সভাপতি রাহুল আচার্য্য বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের প্রায় সাড়ে ৫০০ সদস্যদের মাসিক টাকা থেকে এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।’

রাহুল আচার্য্য আরও বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গরিব শিশুদের লেখাপড়ায় আর্থিক সহযোগিতা, কর্মসংস্থানের সুযোগসহ সমাজের অসহায়দের নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করা হয়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মিলন কান্তি আচার্যসহ নিঃস্বার্থ নবজীবন সংগঠনের কর্মীরা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!