চট্টগ্রামের রেল কর্মকর্তার সঙ্গে গার্ড ডিউটি বণ্টন নিয়ে শ্রমিক লীগ নেতার বিতণ্ডা

কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী নতুন ট্রেনে গার্ডদের দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় রেল শ্রমিক লীগের এক নেতা। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে অশ্লীল বাক্য বিনিময় ও ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবনে (সিআরবি) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওপিএস) মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে রেল শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামের ট্রেনটিতে গার্ডদের ডিউটি বণ্টনের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় সিওপিএস মো. শহীদুল ইসলামের কাছে দলবল নিয়ে যান লোকমান হোসেন। কিন্তু ওই সময় জুম মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে আলোচনায় অপারগতা প্রকাশ করে সিওপিএস। এরপর কিছু সময় লোকমানকে সিওপিএস জানান, দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের ট্রেনে রেক নিয়ে যেতে হবে, তাই এখন এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন না। একথা শুনে লোকমান ক্ষিপ্ত হন। তারপর দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। বিতণ্ডার একপর্যায়ে অশোভন বাক্য বিনিময় ও ফাইল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চট্টগ্রাম গার্ড কাউন্সিলের সভাপতি মো. আলী বলেন, ‘নতুন ট্রেনে চট্টগ্রামে গার্ডদের বঞ্চিত করায় এ বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা লোকমান হোসেন কথা বলতে চান। তবে দু’জনের মধ্যে ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।’

আরও জানা গেছে, চট্টগ্রামে গার্ড সংখ্যা ছিল ৩৪ জন। তবে ৬ মাস আগে নব নিযুক্ত ও বদলি হয়ে আসা গার্ডসহ বর্তমানে এ সংখ্যা ৫৫ জন। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেনে গার্ডদের দায়িত্ব দিতেই সিওপিএস শহিদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে যায়।

এদিকে একাধিক রেল কর্মকর্তা জানান, আগে গার্ড থাকার পর তাদের ট্রেনের ডিউটি দেওয়া হলেও তারা পালনে অনীহা প্রকাশ করতো। কিন্তু কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হওয়ার পর হঠাৎ করে সুর পাল্টে যায় তাদের।

তবে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে আপাতত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে ঢাকার গার্ড এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে চট্টগ্রামের গার্ড।

কেন্দ্রীয় রেল শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি লেকমান হোসেন বলেন, ‘গার্ডদের অনুরোধে দেখা করতে গেলে আলোচনায় অপারগতা জানান সিওপিএস শহীদুল ইসলাম। এরপর তিনি ফাইল ছুঁড়ে মেরে অশোভন আচরণ করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সিওপিএস শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এরপর ২টায় রেক নিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার কথা জানাই। এরপর রেল শ্রমিক লীগ নেতা লোকমান আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।’

জেএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!