চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীকে ৫ কোটির ক্ষতিপূরণ কেন নয়—জানতে চাইলেন হাইকোর্ট

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এসএম জসিমউদ্দিনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কেন পাঁচ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না— জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই আদেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রামভিত্তিক সূচনা এন্টারপ্রাইজের মালিক এসএম জসিমউদ্দিন চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার এক মামলায় আসামি। তার করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক, মামলা পরিচালনাকারী সরকারপক্ষে আইনজীবী (এপিপি), চেক ডিজঅনার মামলার বাদি ও তার সহযোগী সংশ্লিষ্ট এসএ গ্রুপের ম্যানেজার মো. সাইফুদ্দিন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

রিট আবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চট্টগ্রামের লবণ ব্যবসায়ী আব্দুল আলীমের মাধ্যমে ২০১৫ সালের ২১ জুন মো. সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে চট্টগ্রামের হালিশহরে একটি দোকান ভাড়া নেন জসিম উদ্দিন। এ সময় তিনি সিকিউরিটি মানি হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের এক লাখ টাকার একটি চেক দেন বাড়ির মালিক সাইফুদ্দিনকে। কিছুদিন পর জসিম উদ্দিন ওই দোকান ছেড়ে দেওয়ার পর চেকটি ফেরত চান। কিন্তু সাইফুদ্দিন তাকে চেক ফেরত দেননি। এরও কিছুদিন পর ওই চেক ব্যবহার করে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আব্দুল আলীম আদালতে চেক ডিজঅনারের (প্রত্যাখ্যাত হওয়া) একটি মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় মানিকগঞ্জ থেকে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে চট্টগ্রামের পঞ্চম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলাকালে দেখা যায়, ২০১৫ সালের দেওয়া চেকটি ঘষামাজা করে ২০১৬ সালে ডিজঅনার করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের ছুটিতে থাকা এক কর্মকর্তার সিল ব্যবহার করা হয়েছে ওই চেকে।

এরপর চেকে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলায় জড়ানোর অভিযোগে বাদি আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান ব্যবসায়ী জসিম। কিন্তু আদালত জসিম উদ্দিনের ওই আবেদন খারিজ করে দেন। তবে গত ১৩ মে চেক ডিজঅনারের মামলা থেকে জসিম উদ্দিনকে খালাস দেন আদালত। রায়ে বিচারক ব্যবসায়ী এসএম জসিম উদ্দিনকে ‘অভ্যাসগতভাবে অপরাধের সঙ্গে জড়িত’ হিসেবে অভিহিত করলে সংক্ষুদ্ধ হয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন জসিম উদ্দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুহাম্মাদ আমিরুল হক ও সাইফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!